ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে,অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১ নভেম্বর ২০২৪

৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে,অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধিভুক্তি বাতিল না করা হলে অসহযোগ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

 

 

 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘নারী শিক্ষার্থীদের হল নির্মাণ এবং সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে’ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

 

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘অধিভুক্তি বাতিল করো, ঢাবিকে মুক্ত করো’, ‘ভোগান্তি না মুক্তি? মুক্তি মুক্তি’, ‘অধিভুক্তি বাতিল করো, সাত কলেজ মুক্ত করো’, ‘অধিভুক্তির ব্যবসা গুড়িয়ে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মেয়েদের হল নির্মাণ,করতে হবে করতে হবে’, ‘লাগাও তালা, বাঁচাও ঢাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ করেন।

 

সমাবেশে শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এর আগেও অনেক আশ্বাসে বিশ্বাস রেখে প্রতারিত হয়েছি। কিন্তু এবার আর আমরা আশ্বাসের মূলা ঝুলানো বিশ্বাস করছি না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে যদি অধিভুক্তি বাতিল না করা হয় তাহলে ৭৩ ঘণ্টায় গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেবো। তিনি বলেন, এ ৭২ ঘণ্টায় আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে যাবো। গণসংযোগ করে সবাইকে সচেতন করো তুলবো। এরপরেও আমাদের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে ২০১৯ সালের মতো সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেবো।

ফার্মেসি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র‍্যাংকিংএ পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের কোনো সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। সাধ্যের বাইরের এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য জায়গা পায় না। কিন্তু সাত কলেজের জন্য ঠিকই আলাদা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বলেন, হলে উঠে ২ বছর গণরুমে থেকেছি। এরপর বৈধ সিট পেয়েছি। মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখনো গণরুমে থাকে। বাজেটের অভাবে কর্তৃপক্ষ নতুন হল বানাতে পারছে না কিন্তু ৭ কলেজের জন্য কীভাবে নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করবে? আমারা অবিলম্বে ৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই। ঢবিতে একটি নতুন ইটও গাঁথা হলে সেটা হবে মেয়েদের হলের জন্য। অন্যকিছুর জন্য কখনই না।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। একই দাবিতে আন্দোলন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কিন্তু কারও দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদ সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত রেখেই তাদের জন্যে আলাদা অবকাঠামো নির্মাণের ঘোষণা দেয়।

ফুয়াদ

×