ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

প্রকল্প ব্যয় ৯৮৯৯ কোটি টাকা

বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক চার লেন হচ্ছে

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১ নভেম্বর ২০২৪

বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক চার লেন হচ্ছে

.

দেশের পশ্চিম পূর্ব-উত্তর অংশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে সরকার বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের ৯৯.৪২ কিলোমিটার অংশকে চার লেনের মহাসড়কে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে, যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি বাড়বে, বাণিজ্য বাড়বে আন্তঃসংযোগ উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পে মহাসড়কের উভয় পাশে ভারি যানবাহনের জন্য আলাদা সার্ভিস লেন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা যানজট দুর্ঘটনা কমানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন সহজ করবে যাতায়াতের সুবিধা বাড়াবে। পরিকল্পনা কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেহাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প : বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অংশ (পর্ব-)’ প্রস্তাবনা কমিশনে জমা দিয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। সভায় পরিকল্পনা কমিশনের শারীরিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সোলেমান খান সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু কেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রস্তাবিত সড়ক নির্মাণ ব্যয়ের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়।

চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্প ২০২৪ সালে শুরু করার পরিকল্পনা করছে সড়ক জনপথ অধিদপ্তর (আরএইচডি) এর মোট ব্যয় হাজার ৮৯৯.৫৬ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দেবে লাখ ৪৭৩.৪২ কোটি টাকা, বিদেশী ঋণ আসবে হাজার ৪০৮. কোটি টাকা অনুদান থেকে আসবে ১৭.৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

প্রস্তাবনা অনুসারে, মহাসড়কটি দেশের উত্তর-পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে এবং বেনাপোল স্থলবন্দর, ভোমরা স্থলবন্দর, মোংলা সমুদ্রবন্দর, সুন্দরবন দর্শনা আইসিডির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়বে সারাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে।

আরএইচডির এক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বর্তমান দুই লেনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার ৪০৭টি যানবাহন চলাচল করে, যা ভবিষ্যতে যান চলাচলের চাহিদা পূরণে অক্ষম। কারণে চার লেনের সড়কের সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা সড়ক থেকে ২০-৩০ মিটার দূরে অবস্থিত। প্রকল্পে আইটি অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য ৬৯.৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  পরিকল্পনা কমিশনের পরামর্শ অনুসারে, প্রকল্পের খরচ নির্ধারণে আর্থিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হবে, বিশেষ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায়। জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন অন্যান্য ব্যয়ের সঠিক হিসাবের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রকল্প সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের প্রধান স্থল সমুদ্রবন্দরগুলোর সঙ্গে সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে, যা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনবে।

×