নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ।
সুপারশপের পর কাঁচাবাজারে আজ থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তখন তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিনজাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ কার্যক্রমে কাঁচাবাজার ও পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানো হবে।
এরই অংশ হিসেবে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও চালানো হবে অভিযান।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও, বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পলিথিনের গ্রাহক আসছে রোজ। কিন্তু পলিথিন দেওয়া যাচ্ছে না। পলিথিনের বিকল্প কিছু না আসায় আরও সমস্যা।
বিকল্প কিছু আসবে শোনা গেলেও কিন্তু এখনও আসেনি।বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন বলেন, ‘এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজনক, তাই এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রি না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকার গৃহীত পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি যে সাধারন মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি।
টুম্পা