হারুন-সাবরিনা
রিমান্ডে ডিবির হারুন ৮ ঘন্টা বসিয়ে রেখে শুধু মাত্র ২ টি প্রশ্ন করেছিলেন ডাঃ সাবরিনাকে। কী সেই দুইটি প্রশ্ন? এছাড়াও একটি ঘরে আটকে রেখে সাবরিনার মাথার উপর সব সময় ৪ টি হাই পাওয়ারের লাইট জ্বালিয়ে রাখা হতো। সেই রুমে ছিলো না শোয়ার বা ঘুমানোর ব্যবস্থা। সবসময়ই কাঠের চেয়ারে বসিয়ে রাখা হতো এই নারী ডাক্তারকে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হারুনের আচরণ ও রিমান্ডের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই বর্ননা করেছেন ডাঃ সাবরিনা।
তিনি বলেন, আমি জানি না আমার সাথে কি শত্রুতা ছিলো ডিবি হারুনের। উনি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখন ডেকে পাঠালেন , আমি তো সুন্দরভাবে চলে গেলাম। আমি তো জানি আমি কোন অপরাধ করিনি।
তিনি জানান, ডিবির কার্যালয়ে যাওয়ার পরেই তিনি দেখেন সমস্ত সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত।
এর পর তাকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি রুমে রাখা হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু সাড়ে ৮ ঘন্টা বসিয়ে রাখার পরে ডিবির হারুন তাঁকে শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কোন মেডিকেল কলেজের ডাক্তার , এবং সাবরিনা কততম বিসিএস থেকে ক্যাডার হয়েছেন।
এসময় ডাক্তার সাবরিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, এ দুটা প্রশ্নের উত্তরে উনি কি সন্দেহজনক পেলেন কি উত্তর পেলেন যে উনি আমাকে এই মামলায় গ্রেফতার করলেন?
তিনি বলেন, সরকারী চাকুরীজীবীদের গ্রেপ্তারে যে নিয়ম আছে সেটা আমার ক্ষেত্রে মানা হয়নি।
এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে তিনি বলেন। তখনকার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে বলা হলো আমি রেজিস্টার্ড কার্ডিয়াক সার্জারির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অন্য একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমি যে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত এর কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি
তিনি রিমান্ডের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, রিমাণ্ডে আমার উপর যে নির্যাতন হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। একটা মামলায় আমাকে ৭ দিনের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে
এমনকি বারবার রিমাণ্ড চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও এতো নোংরা অপমানজনক প্রশ্ন করা হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
হারুন সম্পর্কে তিনি বলেন, যখন বইমেলায় আমার বই নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছে আমার বই চলছে তখন এটা নিয়েও হারুন হুমকি দিয়েছে। আমাকে বলেছে ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন করেছি
উনার অনেক সহচর রা এখনও আছেন যারা আমার উপরে হামলা করতে চায়, একারণে আমি অনিরাপত্তায় ভুগছি বলে জানান সাবরিনা।
এর আগে করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় ১১ বছরের সাজা পেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরী। ২০২৩ এর জুনে এ মামলায় তিনি জামিন পান।
বারাত