ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

ভয়াবহ সত্য! আন্দোলন দমনে গুলি চালিয়েছে ভিনদেশী পুলিশ!

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

ভয়াবহ সত্য! আন্দোলন দমনে গুলি চালিয়েছে ভিনদেশী পুলিশ!

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন দমনে ভারতের ’র’ কি ছিলো মাঠে?

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন দমনে ভারতের 'র' কি ছিলো মাঠে? কিংবা ভারতীয় পুলিশরাও কি গুলি করে হত্যা করেছে শিক্ষার্থীদের? বাংলাদেশের পুলিশের পোষাক পরা হিন্দি ভাষায় কথা বলা এই ব্যাক্তিগুলো কারা?

এবার তদন্তে এমন এক সত্য বের হয়ে আসলো যা শুনলে শিউরে উঠবেন। আঁতকে উঠবেন ঘটনার নির্মমতায়। শরীর কেঁপে উঠবে। কল্পনায় ভেসে উঠবে রক্তাক্ত জুলাইয়ের তাজা স্মৃতি।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি ভিডিও ফেসবুকসহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায় একদল পুলিশ সদস্য যে যেভাবে পারছেন বিমানবন্দরে প্রবেশ করছেন। দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো সবাই জীবন বাঁচাতে দিক্বিদিক শূন্য হয়ে ছুটছেন।

শুধু বিমানবন্দরের ভিতরেই না, রানওয়েসহ ভিতরে সবখানেই এসব পুলিশ সদস্যের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিলো ভিডিওতে। শুধু তাই নয় প্রতিটি পুলিশ সদস্যের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন এইসব পুলিশ সদস্য কারা? এরা কি ভিনদেশী কেউ? নাকি এরা ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালান হত্যাকারী? এরা এভাবে ছুটে কোথায় যাচ্ছে।
এমনকি একথাও উঠে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর এসব পুলিশ সদস্যরা জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে শেখ হাসিনার পতনের প্রায় ৩ মাস চলে গেলেও পাওয়া যায়নি এসব বক্তব্য কিংবা ঘটনার কোন ধরনের সত্যতা। তবুও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা।

এবার তদন্তে বের হয়ে আসলো ভয়াবহ এক সত্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিশন টিম জুলাই আন্দোলনে আহতদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে আন্দোলনে শুধু বাংলাদেশের পুলিশ নয় পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকরাও ছিল

চিফ প্রসিকিউটের তাজুল ইসলাম বলেন জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুধু বাংলাদেশের পুলিশ নয় পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকরা ছিল। এর প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

তিনি বলেন গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য পেয়েছি কয়েকজন শিক্ষার্থী যারা যাত্রাবাড়ি এবং গাজীপুর এবং মাওনাতে ছিল এদের সাথে কথা বলে আমরা প্রমান পেয়েছি। শিক্ষার্থিরা তাঁকে জানিয়েছে। যে পুলিশরা গুলি করেছে তাঁদের অধিকাংশ হিন্দি ভাষায় কথা বলেছে হিন্দি ভাষায় গালাগালি করেছে এবং তাদের আচরণ ছিল পুরোটাই ব্রুটাল।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ নিষ্ঠুর আচরণ করেছে এটা সত্য তবে দেশের পুলিশ যতটা নিষ্ঠুর আচরণ করেছে এর থেকেও অনেক বেশি নিষ্ঠুর আচরণ করেছে ওইসব লোকেরা।

বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে তাজুল বলেন, অনেকেই জানিয়েছেন আন্দোলনে গুলি চালানো অনেক পুলিশ সদস্যই কথা বলেছেন হিন্দি ভাষায়।

এদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন তদন্তে আহতরা জানিয়েছেন পুলিশের অনেকেই হিন্দিতে পালিয়ে যেতে বলেছেন। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ হিন্দি ভাষা জানে। তাই এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।  বিষয়টি নিয়ে এরই মাঝে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তাজুল।

বাংলাদেশের আইনে যে দেশের নাগরিকই হোক দেশের সীমানার মধ্যে যদি কোন অপরাধ ঘটে সেটা বিচার করার ক্ষমতা আমাদের আছে।

আমরা যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।

৫ আগস্ট রাজারবাগ পুলিশ লাইন মধ্য বাড্ডা সহ বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে রাতভর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এ ধরনের বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে ওই সময় ভাইরাল হয়

ভিডিওতে দেখা যায় ব্যাটালিয়ান নিয়ে এলো পাথারি গুলি করতে করতে এগিয়ে যান পুলিশ সদস্তরা।

ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয় ভিনদেশি পুলিশ বা র সন্দেহে। তবে সত্যিই যে জুলাইয়ের আন্দোলনে ভিনদেশি পুলিশরা ছিলো এটা এখন বলাই যায়।
 

বারাত

×