ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটি-৩

ভুল পরিকল্পনায় দুই প্রকল্প

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ভুল পরিকল্পনায় দুই প্রকল্প

থমকে আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বাস র্যাপিড ট্রানজিট-৩ (বিআরটি-৩)

ভুল পরিকল্পনায় এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর দুই প্রকল্পের কাজ। সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হচ্ছে ভুল স্থানে। তাই পাঁচ বছরের কাজ ১৫ বছরেও শেষ হয়নি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি। রাজধানীর উত্তরা বিমানবন্দরের কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। গত বছর ফার্মগেট পর্যন্ত একটি অংশ চালু হয়। কিন্তু তিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে গত মাস যাবত প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই প্রকল্পটি কবে শেষ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

একই অবস্থা সড়ক অবকাঠামোর অপর প্রকল্প বাস ্যাপিড ট্রানজিট- (বিআরটি-) ২০১২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন করা হয়। গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে উত্তরা বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার বছরের কাজ চলছে ১২ বছর যাবত। সর্বশেষ চলতি বছরের ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৫টি বিআরটি স্টেশন ১৩৭টি বাস ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক অনেক কাজ এখনো বাকি। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

তবে ভুল পরিকল্পনা চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে দুই প্রকল্পে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানান গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তাই প্রকল্প দুটি দ্রুত শেষ করার সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর মনিটরিংয়ের পরামর্শ তাদের।

বিষয়ে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক . সামছুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘পরিপক্বতা সততার অভাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অবস্থা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয়। তখন সিদ্ধান্ত ছিল এটি বাস্তবায়ন করা হবে ঢাকার বাইরে দিয়ে। কিন্তু দাতা সংস্থা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে এটা ঢাকার মধ্য দিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এজন্য তৎকালীন সরকারের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন রেলওয়ের জমিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত দেয়। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রেলওয়ে অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে এই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়। যদি ঢাকার রেলপথটি আর একটু উন্নয়ন করা যেত, তাহলে গাজীপুরের মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারত ট্রেন দিয়ে। রেলপথের ওপর দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করায় এখন রেলপথও প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। তাই এই প্রকল্প নিয়ে ---- অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিআরটি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছে উল্লেখ অধ্যাপক . সামছুল হক বলেন, গাজীপুর একটি শিল্প কারখানা এলাকা। শিল্প কারখানা এলাকায় বিআরটি কোনো দিনও প্রযোজ্য নয়। অতিআগ্রহ নিজস্ব স্বার্থের কারণে সব প্রকল্প ভুল স্থানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভুল পরিকল্পনায় ভুল স্থানে বাস্তবায়নের কারণে প্রকল্পের কাজ আর শেষ হয় না। তাই সময় বাড়ার কারণে প্রকল্প থেকে যে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার কথা থাকে তা আর পাওয়া যায় না। প্রায়োরিটি বাস লেন বা বাস চলাচলের পৃথক লেন দরকার। ঢাকার ভেতরেই বিআরটি হওয়ার কথা। বিআরটি হলেই গাড়ির সংখ্যা কমানো যায়। ঢাকার বাইরে দিয়ে চলবে ট্রাক। ৫০টি গাড়ির যাত্রী যদি একটি বাসের মাধ্যমে পরিবহন করা যায়। সেটা হলো বিআরটি বাস। এই বাসগুলো হবে আধুনিক। ছোট ছোট গাড়ি কমানোর জন্য বিআরটি তৈরি করা হয়। তাই সাধারণত বাস ্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) করা হয় শহরের মধ্যে দিয়ে।তাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর মনিটরিং এবং বাস চলাচলের জন্য পৃথক লেন তৈরি গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আনার জন্য বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দেন তিনি।    

১৫ বছরে এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ প্রকল্প সূত্র জানায়, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’ মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (বিরতিহীন উড়াল সড়ক) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন হয় ২০০৯ সালে। নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। এর মধ্যে প্রকল্পে ব্যয় দুই দফা মেয়াদ তিন দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। পাঁচ বছরের কাজ ১৫ বছরেও শেষ হয়নি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে সড়কে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি ্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। ্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ এবং গত ২০ মার্চ কাওরান বাজার (এফডিসি) অংশের ্যাম্পটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। গত অক্টোবর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দেড় কোটির বেশি গাড়ি চলাচল বাবদ ১১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

ঠিকাদারের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের মাস ধরে কাজ বন্ধ প্রকল্প সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় প্রকল্পে বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ডের একটি চীনভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং নির্মাণকাজের অংশীদার রয়েছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো ইতালিয়ান থাই (ইতালথাই) ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি, চীনের শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

উড়াল সড়ক নির্মাণ পরিচালনা করছে ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লিমিটেড কোম্পানি। এতে ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির শেয়ার ৫১ শতাংশ। চীনের শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের মালিকানা ৩৪ শতাংশ। চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশনের শেয়ার ১৫ শতাংশ। তবে চীনের দুই ঠিকাদার ইতাল-থাইয়ের বিরুদ্ধে ঋণ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং কোম্পানির আরও শেয়ার দাবি করে। আর তাদের দাবি মেনে শেয়ার হস্তান্তরে রাজি নয় ইতাল-থাই।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রকল্পের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত সেপ্টেম্বর সম্পর্কিত লিভ টু আপিল অকার্যকর মর্মে নিষ্পত্তি করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি আপিল বেঞ্চ। বাংলাদেশে সালিশি মামলাটি অকার্যকর হলেও সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে সম্পর্কিত একটি মামলা এখনো চলমান রয়েছে। গত অক্টোবর সিঙ্গাপুরের আদালতে বিষয়টির ওপর শুনানি হয়। কিন্তু উভয় পক্ষকে আরও কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই জটিলতার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বেশিরভাগ নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কাওরানবাজার থেকে হাতিরঝিল অংশে কিছু কাজ চলছে। যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি  এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক এইচ এম সাখাওয়াত আখতার জনকণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্পের পুরো কাজ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ কোনোক্রমে আর বৃদ্ধি করা হবে না। বিষয়ে আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছি। এখন ওদের নিজের মধ্যে ঝামেলা সমাধান হলেই কাজ শুরু হবে। গত অক্টোবর সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে ইতাল-থাইয়ের সালিশি নোটিশের ওপর একটি শুনানি হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আদালত আরও কিছু কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে। এই বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

বিআরটি- চার বছরের কাজ চলছে ১২ বছর সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস ্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি-) ২০১২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন করে সরকার। গাজীপুর শিববাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি সড়কটি তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তীতে সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা উন্নীত করা হয়। মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিপিপি আরও এক দফা সংশোধন করা হয়। যা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরিবর্তীতে তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। কিন্তু এখনো বিআরটি ২৫টি স্টেশন ১৩৭টি বাস কেনা বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়ে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক . মো. মনিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘বিআরটি- প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করার পর এটি পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে কোম্পানির। তাই কাজের অগ্রগতির বিষয়টি প্রকল্প পরিচালকরা বলতে পারবেন। তবে কাজের অবস্থা দেখে প্রকল্পের ঠিকাদারে প্রতি আমরা সন্তুষ্ট নয়। কিন্তু কি করার আছে, এখন ঠিকাদার বাদ দিলে প্রকল্পের কাজ আরও বিলম্ব হবে। প্রকল্পটি ২০১২ সালে অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়েছে আরও পরে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া করোনাসহ বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে। ফ্লাইওভারসহ বিআরটি সড়কের বেশির কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে ২৫ স্টেশনের কাজ এখনো অনেক বাকি। এছাড়া বিআরটি লেনের জন্য ১৩৭টি বাস কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাই সব মিলিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রকল্প সূত্র জানায়, বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উড়ালপথ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে তিনটি চীনা কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ। আর গাজীপুরে ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশী কোম্পানি সেল-ইউডিসি। এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার অ্যাটগেড (সমতল) সড়ক নির্মাণ করছে সড়ক জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নির্মাণের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাস ডিপো, সংযোগ সড়ক হাটবাজার নির্মাণের দায়িত্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২১ জেলার সঙ্গে এই করিডর যুক্ত হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

 

×