ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও‌ আবু সাঈদের গল্প

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও‌ আবু সাঈদের গল্প

এবার পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হতে যাচ্ছে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অধ্যায় এবং পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার আবু সাঈদের নামে একটি নতুন গল্প। যুক্ত হচ্ছে জুলাইয়ে বিপ্লবের ছবি ও গ্রাফিতি। বাদ দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি। এ ছাড়াও ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। 

 

 

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, “পাঠ্যবই থেকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বাদ যাচ্ছে। একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনায় আছে। এ নিয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন।‌ তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”

 

তিনি আরও বলেন, “ভালো মানসম্মত লেখা চাইছি। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। তবে অভ্যুত্থানের কিছু গ্রাফিতি ইতোমধ্যে বিভিন্ন বইয়ে স্থান পেয়েছে।‌ কিছু বই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। সমালোচনা হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে দেশি ছাপাখানাগুলোকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

এনসিটিবির চেয়ারম্যান  আরও বলেন, “২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনে কাজ করছে এনসিটিবি। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বইও যাবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছানোর। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বই দিতে বলা হয়েছে ছাপার কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।”

 

এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে তা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর করা হবে। এর আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে দেওয়া হবে

ফুয়াদ

×