ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

বগুড়ায় সুধি সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়ায় সুধি সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান আওয়ামীলীগের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে আদালতে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে বিচার করা হয়েছিলো সেই আদালতে তাদের আসতে হবে। বিচার হবে, আমারা চাইনা তাদের ওপর জুলুম হোক। আমারা চাই ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে।

 

 

 

 

ন্যয় বিচারে যে পাওনা তারা পাবে তাতে তাদের সাধ মিটে যাবে। তিনি বলেন যারা এদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলো আগাামীতে তাদের দেশের মানুষের নিকট ভোট চাওয়ার কোন নৈতিক অধিকার নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি কারো নাম  উল্লেখ না করে বলেন জুজুর ভয় দেখাবেন না, জাতিকে বোকা ভাববেন না, এদেশের মানুষ খুনীদের প্রকাশ্যে হাঁটতে দিবে না। আগে তাদের বিচার হবে।  তিনি শনিবার বিকালে বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বিশাল সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।


বগুড়া জেলা ও শহর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সহ সভাপতি গোলাম রব্বানীসহ  মাওলানা আবাদুর রহিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হক অধ্যাপক আব্দুল মালেক প্রমুখ। সমাবেশে সহবারী সেক্রেটারী জেনারেল বলে যে ট্রাইবুনালে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিলো সেই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করেছে। দেশে এনে তাদের বিচার করতে হবে। 
প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির বলেন  সাড়ে ১৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে  খুন গুম নির্যাতনের তান্ডব চালানো হয়েছে।

কোন মায়ের বুক খালি হয়েছে , কেউ হয়েছেন সন্তানহারা  অসংখ্য মানুষ হয়েেেছন এতিম অনেকে হয়েছেন পঙ্গু। ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হয়েছে তিনি বলেন জামায়াতের একজন নেতাও শাস্তির ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন কিন্তু কাঁদেননি। তিনি বলেন কারা দেশ থেকে পালায়। যারা দেশকে নিয়ে মেকি কান্না কেঁদেছে তারাই পালিয়েছে। ভালো মানুষ দেশ থেকে পালায় না। তিনি বলেন, আমারা তাদের দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করিনি। তাদের অপকর্মই তাদের দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছে। পিলখাখানায় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশে যে জুলুম শুরু হয়েছিলো তার শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের আগস্টে। জামায়াতে ইসলামকে সবচেয়ে মজলুম দল হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতের প্রথম থেকে ১১ জন নেতাকে খুন করছে আর কোন দল এই দাবি করতে পারবে না। 

 


তিনি বলেন জাতিকে আর কেউ বিভক্ত করতে পারবে না। দেশের প্রতিটি মানুষ মর্যদাবান নাগরিক। প্রত্যেকেই শান্তিতে উপসনা করবে। জামায়াতের বিরুদ্ধে অন্যকারো জমি দখল, চাঁদাবাজী করার বা মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করার অভিযোগ নেই। যদি কেউ বিশ^াসযোগ্য অভিযোগ করতে পারেন তাহলে আমারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবো।  তিনি গনমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন আমাদের বক্তব্য আপনাদের চাদর দিয়ে ঢাকবেন না। নিজেদের মতো উপস্থাপন করবেন না। কেউ ভুলের উর্ধে নয়। তিনি শহীদদের জাতীয় বীর হিসাবে উল্লেখ করে বলেন জামায়াতে ইসলামী শহীদদের কোন সংখ্যা প্রকাশ করেনি, কারণ শহীদদের কোন দলের অংশ করতে চাই না। আমারা তাদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসাবে দেখি। তিনি বলেন এ দেশ সবার। আমারা চাই কোন বৈষম্য থাকবে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি থাকবেনা। আমারা বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক দেশ চাই। তিনি আাওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদকের কথা উল্লেখ করে বলেন তারা বলেছিলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে ৫ লক্ষ লোক খুন হবে। কিন্তু বিপ্লবের পর জাতি প্রমান করেছে আমরা শান্তিপ্রিয় ও দেশকে ভালোবাসি। তারণ ৫ জনও মারা যায়নি। তরুণ সমাজের প্রতি তিনি তার আস্থার কথা উল্লেখ করেন।

 

ফুয়াদ

×