ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

‘৪১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ১০০ জন প্রার্থী নতুনভাবে মূল্যায়নের মুখোমুখি

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২৬ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ০৯:৪৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

‘৪১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ১০০ জন প্রার্থী নতুনভাবে মূল্যায়নের মুখোমুখি

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘41St BCS police cadre:100 candidates facing fresh verification’ অথাৎ, ‘৪১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার: ১০০ জন প্রার্থী নতুনভাবে মূল্যায়নের মুখোমুখি’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং পুলিশ ক্যাডারে চাকরির জন্য সুপারিশ করা ১০০ জনের তথ্য পুনরাই যাচাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর মাধ্যমে মূলত যাচাই করা হবে যে, প্রার্থীদের কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা এবং জঙ্গিবাদের সাথে তাদের যোগসূত্র আছে কিনা।

সেই যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হবে যে এই ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হবে কি হবে না।

এই প্রার্থীদের ব্যাকগ্রাউন্ড ইতিমধ্যেই "পুলিশ ভেরিফিকেশন" প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তাদের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করবে।

ওই ১০০ জন রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এক বছর ধরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের অপেক্ষায় আছেন।

গত ১৯শে অক্টোবর এই প্রশিক্ষণ শুরুর কথা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি ৬২ জন এএসপি- এর পাসিং আউট প্যারেড স্থগিত করে।

পরে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) পুলিশ সদর দফতরের (পিএইচকিউ) নির্দেশে ১০০ জন প্রার্থীর ব্যাকগ্রাউন্ড পুনরায় যাচাই করার উদ্যোগ নেয়া হয়।


কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘ঘনীভূত হচ্ছে নির্বাচনের চাপ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।

বিগত সরকারের আমলে নানা অপতৎপরতা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত মন্তব্য এবং সে কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিসংক্রান্ত পরিস্থিতি দলগুলোর মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বাড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। চাপ আসছে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও।

অন্যদিকে সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা মনে করছেন, দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে রাষ্ট্রের ও রাজনীতির প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজগুলো সম্পন্ন হবে না। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যে প্রত্যাশা তা অপূর্ণই থেকে যাবে।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেসব কমিশন আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ করবে। সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ হতে পারে।

একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তবে ভবিষ্যতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে সে ব্যবস্থাও করা দরকার বলে জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘রাজনৈতিক ঐক্যের চেষ্টায় ছাত্রনেতারা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

এরিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা।

তারা মূলত নিজেদের এই দাবিতে অনড় থেকে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে।

তাদের যুক্তি হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ওই বক্তব্যের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের প্রতি বিএনপির কোনো সহানুভূতি নেই; কিন্তু তাঁকে সরানোর চেষ্টার পেছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, অথবা সরানোর পর কী পরিস্থিতি হতে পারে, এসব বিষয়ে সংশয় রয়েছে বিএনপিতে।

এছাড়া দলটির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এ মুহূর্তে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না করার কথা বলেছেন। দলটি মনে করে, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে, সেটা বিএনপি চায় না।


দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘ট্রাইব্যুনালে বিচারের ভিন্ন অধ্যায়’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সময়ের পরিক্রমায় এখন গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের তৈরি আইনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে যাচ্ছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল), ১৯৭৩ আইনটি করা হয়েছিল।

২০১০ সালের মার্চে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর এই আইনে বিভিন্ন সময়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার ফাঁসির আদেশ ও তা কার্যকর হয়।

এবারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত গুমের ঘটনা নিয়ে অভিযোগেরও বিচার হবে।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর কথা রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ আরো অনেকের রায়ের প্রত্যাশা করছে প্রসিকিউশন।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রাথমিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে বিচারের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

গ্রেফতারি পরোয়ানা এরিমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পুরনো হাইকোর্ট ভবনের পাশে একটি টিনশেড ভবনে বিচারের প্রাথমিক পর্যায় শুরু হচ্ছে।

পুরনো ভবনটির সংস্কারকাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ ভবনে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘নড়বড়ে নিরাপত্তা, বেড়েছে অপরাধ’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এর প্রভাবে ঢাকায় প্রায়ই ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

যানবাহন সংকটে পুলিশের টহল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরাধী চক্র। কিছু এলাকায় নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে উঠেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিচ্যুত অনেক সদস্য ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়েছে। এই অপরাধে তারা ব্যবহার করছে কালো কাচের গাড়ি।

সম্প্রতি অনেক দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগার থেকে বেরিয়েছে। তারা অপরাধের নতুন নকশা করছে এবং নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধীরগতিতে চলছে। কারণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কোনো সমালোচনা হলে, সেই দায় তারা নিতে চাচ্ছে না।

নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট অনেকে আশঙ্কা করছেন, ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে।

কারণ জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তারা মরিয়া।


মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘শুল্ক ছাড়ের প্রভাব নেই বাজারে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিত্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানতে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পিয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরও ডিম ছাড়া বাকি পণ্যগুলোর দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে।

গত ১৭ই অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়।

অন্যদিকে এই তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়। এরপরও এর শুল্ক ছাড়ের প্রভাব বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে এনবিআর।

এছাড়া আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬০০০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রতি টন ৪৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। এরপরও পণ্যটির দাম বেড়েছে।

আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং তিন শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে পিয়াজের ওপর প্রযোজ্য পাঁচ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করা হলেও বাজারে এর কোন প্রভাব নেই।

ইসরাত

×