ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১

মহিলাদের জন্য নির্মিত মার্কেট পুরুষদের দখলে

প্রকাশিত: ০০:৩১, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

মহিলাদের জন্য নির্মিত মার্কেট পুরুষদের দখলে

নামে মহিলা মার্কেট, রাজত্ব পুরুষের! নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পৌর মহিলা বিপনী বিতান ও গোবিন্দপুর ওমেন্স কর্ণার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও নারীদের ভাগ্যে জুটেনি দোকান বরাদ্দ। অবৈধ, নিয়ম-নীতি বর্হি:ভূতভাবে প্রায় ২২বছর ধরে এসব মার্কেট পুরুষরা দখল করে আছেন। এ যেনো ‘জোর যার মুল্লুক তার।’

 

 

 

একাধিক সূত্র জানা যায়, গৌরীপুর পৌরসভার মধ্যবাজারে ১৬টি দোকান বিশিষ্ট পৌর মহিলা বিপনী বিতান, শ্যামগঞ্জ মহিলা মার্কেট, ভূটিয়ারকোনো নারী দোকান শেড ও গোবিন্দপুর ওমেন্স কর্ণার নির্মাণে তৎকালীন সময়ে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। গোবিন্দপুর ওমেন্স কর্ণারটি ২০০২সনে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গৌরীপুর পৌরসভার পৌর মহিলা বিপনী বিতানটি ২০০৬সনে গৌরীপুর পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম হবির নিকট হস্তান্তর করেন।

 

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ওমেন্স কর্ণারটি ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তরের পর ২০০২সনের ২০জুন তৎকালীন সাবেক এমপি এএফএম নজমুল হুদা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এ মার্কেটটি নিয়ম-নীতি বর্হি:ভূতভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করা হলেও দোকান বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো বরাদ্দপত্র দেয়া হয়নি। মার্কেটের ১২টি দোকানের মধ্যে ৪/৫টি দোকান পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। অন্যদোকানগুলো গোডাউন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরমধ্যে দোকানের সবগুলো ফ্যান, বিদ্যুৎ সরবরাহের সরঞ্জামসহ চুরি হয়ে গেছে একটি দোকানের সার্টারও। স্থানীয় লোকজনও জানে না ‘এটা ওমেন্স কর্ণার।’

মইলাকান্দা ইউনিয়নে মহিলা মার্কেট (ওমেন্স কর্ণার) আছে শোনে বিস্মৃত হন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে এ মার্কেটের কোনো তথ্য আছে বলে আমার জানা নেই! ওমেন্স কর্ণারটি নারীদের নামে বরাদ্দ দেয়ার কথা শোনে তাৎক্ষনিক আগ্রহ প্রকাশে করেন পাশের চা দোকানী মোছা. ফরিদা খাতুন।

তিনি বলেন, ভাঙা ঘরে দোকান করি, রাতে চোর-ডাকাতের ভয়, তাই দোকানে থাকতে হয়। এ মার্কেটে দোকান পেলে তো নিরাপদে ব্যবসা করতে পারতাম। দর্জি দোকান নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন পাশ্ববর্তী শহিদুল ইসলাম স্ত্রী জুয়েল আক্তার। তিনি বলেন, এতোবছর পর জানলাম এটা ‘আমাদের (নারীদের) মার্কেট।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বরণ দেব বলেন, নির্মাণের পর মার্কেট স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো

 

ফুয়াদ

×