ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

কী কারণে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তেলবাহী দুই জাহাজ? যা জানা গেল

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কী কারণে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তেলবাহী দুই জাহাজ? যা জানা গেল

এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে জাহাজ দুইটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।

সম্প্রতি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে একেবারে অকেজো হয়ে পড়ায় তেলের জাহাজ ‘বাংলার জ্যোতি’ আর ‘সৌরভ’চালানোর সুযোগ নেই। তাই এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে জাহাজ দুইটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।

এক্ষেত্রে বিমার 'কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস' প্রক্রিয়াকে বেছে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। জানা যায়, জাহাজ দুটি বিমার আওতায় থাকলেও এর মধ্যে জ্যোতির ছিল না ক্লাসিফিকেশন বা সার্ভে কাভারেজ।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর দুটি জাহাজই অকেজো হয়ে পড়ায় তেল পরিবহনে দৈনিক ২৬ হাজার ডলারে একমাসের জন্য ভাড়া করা হয় একটি ট্যাংকার। সাময়িক সময়ের জন্য ভাড়া করা জাহাজটির মেয়াদ ফুরিয়ে আসতে থাকায় নতুন করে জাহাজ ভাড়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিপিসির এসপিএম প্রকল্প চালুর আগ পর্যন্ত আরেকটি জাহাজ ভাড়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। 

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক জানান, জাহাজ দুইটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে জাহাজ দুইটির বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, বিমার ক্ষেত্রে দুই ধরনের সিস্টেম রয়েছে। একটি হলো টোটাল লস, অন্যটি হলো কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস। যার ফলে মালিকপক্ষ জাহাজটি বিক্রি করে কিছু রিকাভারি করতে পারবেন। আর টোটাল লস বিমা প্রক্রিয়ায় জাহাজটি পুরোপুরি বিমার আওতায় থাকবে।

জানা যায়, বহির্নোঙর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারী পর্যন্ত তেল বহন করে জ্যোতি-সৌরভ গত অর্থবছরে আয় করে ১শ' ৩ কোটি টাকা। রক্ষণাবেক্ষণসহ মোট ব্যয় ৫৫ কোটি বাদে নীট আয় ৪৮ কোটি। তবে জাহাজগুলো পুরনো বিবেচনায় ভাড়া জাহাজেই বেশি লাভ দেখছে বিএসসি। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৪ অক্টোবর জ্যোতি-সৌরভে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

তাসমিম

×