ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

পদত্যাগপত্রের হার্ডকপি-সফটকপি!

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ২২ অক্টোবর ২০২৪

পদত্যাগপত্রের হার্ডকপি-সফটকপি!

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

কেন শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের হার্ডকপি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আছে কি নাই, হঠাৎ অনেক বড় ইস্যু?

 

 

তবে কি ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে? দেশের মানুষের জন্য প্রতিদিনের যে সমস্যা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সেটা কি তবে সাময়িকভাবে হলেও চাপা পড়বে? পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কম আলোচনা হবে মিডিয়াতে, টকশোতে? অনেক প্রশ্ন, কে উত্তর দেবে?

 

খোদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই তো বিতর্কের অবস্থান ঘটিয়েছিলেন ৫ আগস্ট। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানকে পেছনে দাঁড় করিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সাংবিধানিকভাবে যিনি রাষ্ট্রের প্রধান তিনি যখন ভাষণে সারা জাতিকে জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তখন আড়াই মাস পরে তার হার্ডকপি খোঁজা কি শুধুই কাকতালীয়!

 

 

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেছেন, এটি তার কাছে নেই।

প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে সংসদ ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি নতুন প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদকে শপথ বাক্য পড়িয়েছেন সেখানে পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের চিঠি খুঁজতে যাওয়া কী কারণে?

আর শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের হার্ডকপি যেন এখন সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু। খোদ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ নিয়ে চাছাছোলা মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন। যা শপথ লঙ্ঘনের শামিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এভাবে বিভিন্ন মহলে রাষ্ট্রপতির পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষুব্ধ খোদ অন্তবর্তী সরকারও।

সরকারের একাধিক মহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হবে।

তবে কি চারিদিকে যে গুঞ্জন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে? ড. ইউনূস রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও নেবেন? চারিদিকে এমন নানা আলোচনা আছে।

 

ফুয়াদ

×