ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

আমরা যেটা দাবি করি ওটাই আইন

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আমরা যেটা দাবি করি ওটাই আইন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম চার সমন্বয়ক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতায় প্রায় হাজারের বেশি মৃত্যু এবং প্রবল গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান।

আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নিজেদের দাবি আদায়ে সংগঠনটির ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু সরকার পতনের পর যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানান অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রধান ৪ সমন্বয়ক এর ‍মধ্যে দুইজন উপদেষ্টা পরিষদে স্খান পেলে ও বাদ পড়ে দুুই জন।নানা অনিয়ম এবং অভিযোগ তুলে ধরে হাসনাত এবং সারজিস নানা সময়ে আলোচনা বা আন্দোলনের ডাক দিয়েই যাচ্ছেন।

সম্প্রতি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে সারজিসকে সম্পাদক,পদত্যাগ করা সমন্বয়কদের আবার নতুন নতুন প্লাটফর্মের ঘোষণা সহ সর্বশেষ হাসনাতের একাই ছাত্র জনতার গণজমায়েতের ডাক দেওয়া এসব ইস্যুতে এবার ছাত্র জনতার মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা তেমনই কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনকণ্ঠের পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো-

ইউসুফ জুয়েল  নামে একজন লিখেন পিলিজ, আমাকে ক্ষমা করে দাও! এবার আমি যেতে পারবোনা।

এ এইচ এস লিখেছেন,এই সমন্বয়করা নির্দিষ্ট কোন দলের শত্রু না, এরা দেশ ও জনগণের শত্রু।এদের কারণে সাজানো গোছানো একটা বাংলাদেশটা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এমডি মনির লিখেন ইনশাআল্লাহ চালিয়ে যান ভাই,সবসময় পাশে আছি।

আবদুল্লাহ আল নোমান লিখছেন, একেই লোক কখন ও জামায়াত শিবিরের মিছিলে কখন ছাত্রদলের মিছিলে আবার ঘুরে ফিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে আতংক কাটছেইনা। এদের স্বৈরাচার আর ফ্যাসিষ্ট এই টনিক এখন আর সাধারন পাবলিক খাচ্ছেনা পাবলিক অলরেডী বলা শুরু করেছে আগেরটাই ভালো ছিলো । হাসনাতেরা এখন আওয়ামীলীগ ফিরে আসার আতংকে ঘুম হারাম খেতে বসতে শুতে আওয়ামীলীগ আতংকে ভুগে সার্জিস আলমেরা না পারছে খেতে না পারছে ফেলে দিতে এখন চারদিকে অন্ধকার ছাত্রলীগ আতংক।

মাসুদ নামের একজন লিখেন,আমরা (সমন্বয়করা) যেটা দাবি করি ওটাই আইন।

ফুয়াদ

×