ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন ২০০ গাড়ি কিনছে সরকার

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন ২০০ গাড়ি কিনছে সরকার

২০০ মিৎসুবিশি পাজেরো জিপ গাড়ি কিনতে চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২০০ মিৎসুবিশি পাজেরো জিপ গাড়ি কিনতে চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিউএক্স মডেলের ২৪৭৭ সিসির প্রতিটি গাড়ির দাম ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকারও বেশি। গাড়িগুলো কিনতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি গাড়িতে বাড়তি যোগ করতে হবে ২৩ লাখ টাকা।

ডিসি ও ইউএনওদের জন্য এসব গাড়ি কেনার বাজেট চেয়ে গত ৭ অক্টোবর অর্থসচিবকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসনের গতিশীলতা ধরে রাখতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা স্বাভাবিক রাখতে এসব গাড়ি কেনা প্রয়োজন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত মাসে ডিসি ও ইউএনওদের জন্য নতুন ২০০ গাড়ি কেনার জন্য বাড়তি টাকা চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি পরিবহন পুলে গাড়ি সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে সরকারের এ অধিদপ্তর।

পরিবহন কমিশনার মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনে ব্যবহৃত গাড়ির আয়ুষ্কাল ১৪ বছর। যেসব গাড়ির বয়স ১৪ বছর পার হয়েছে এমন ২০০ গাড়ির অনুকূলে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন করে ব্যবহারের জন্য খাত তৈরি করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো উপযোগিতা তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। এমনকি আইনের বাইরে গিয়েও বরাদ্দ চাইনি। সুনির্দিষ্টভাবে যেসব গাড়ি অতি পুরনো হয়েছে, সেগুলো কিনতেই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিটি ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামে এসব গাড়ি সরবরাহ করবে। গত অর্থবছরে একই মডেলের এসব গাড়ির দাম ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। বছর ব্যবধানে গাড়িপ্রতি মূল্য বেড়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুনর্নির্ধারিত মূল্য ধরে বরাদ্দ না পেলে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা  বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তাসমিম

×