ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

তার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ॥ আসিফ নজরুল

রাষ্ট্রপতির বক্তব্য স্ববিরোধী

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৩০, ২১ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতির বক্তব্য স্ববিরোধী

সচিবালয়ে সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আড়াই মাস পর আবারও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির একটি মন্তব্যকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কোনো দালিলিক প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। জবাবে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন মন্তব্য করে বলেন, রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্য শপথ ভঙ্গ করার শামিল। এই পদে থাকার যোগ্যতা উনার (রাষ্ট্রপতি) আর আছে কি না, প্রশ্ন আসে। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকলে বা গুরুতর অসদাচরণ করলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের দেশের সংবিধানে আছে।
শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টাই নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে অসত্য কথা বলায় রাষ্ট্রপতির নিজ থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন যে, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো ডকুমেন্ট নেই, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা ছাত্রসমাজ ঠিক করবে।
সম্প্রতি একটি বাংলা দৈনিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পরই এ নিয়ে সব মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। বঙ্গভবনে ওই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনার (রাষ্ট্রপতি) কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যে জেরে সোমবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বিষয়টি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্য শপথ ভঙ্গ করার শামিল। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ উনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হয়, এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, উপদেশমূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে জানতে চাওয়া হয়। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সব বিচারপতি মিলে ১০৬ অনুচ্ছেদের অধীনে মতামত দেন, রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের ভিত্তিতে। এর প্রথম লাইন ছিল, দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তারপর অন্য কথা।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই মতামতের ভিত্তিতে একটি নোট আমরা মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠিয়েছি।
নোটে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি এই মতামতটা দেখেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। এরপর উনি নিজে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন। ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিজের মুখে ভাষণে বলেছেন, উনাকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ দিয়েছেন এবং উনি গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে একের পর এক কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, উনি পুরো জাতির কাছে বিভিন্নভাবে নিশ্চিত করেছেন, আবারও নিশ্চিত করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং তিনি গ্রহণ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি উনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেননি। এত দিন পরে, প্রায় আড়াই মাস পরে, তা হলে এটা এক ধরনের স্ববিরোধিতা হয়। উনার শপথ লঙ্ঘন হয় এবং এই পদে থাকার যোগ্যতা উনার আর আছে কি না প্রশ্ন আসে। কারণ আমরা জানি, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকলে বা গুরুতর অসদাচরণ করলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকতে পারে কি না- সেটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের দেশের সংবিধানে আছে।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এখন উনার (রাষ্ট্রপতি) স্ববিরোধী কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। যদি উনি এই বক্তব্যে অটল থাকেন, তা হলে উনার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না সেটা আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ভেবে দেখা হবে।’
এ বিষয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া না-দেওয়ার কিছু নেই। সাংবিধানিক শূন্যতার আলাপটি অপ্রাসঙ্গিক, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন ॥ শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করেন। গত শনিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’-এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি করেননি এ নিয়ে বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। হয়তো অনেক দিন থাকবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিকবার দাবি করেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মিডিয়ার সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে থাকেন তা হলে সেটা গেল কোথায়? কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব নেই।’
তিন সপ্তাহ ধরে এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মতিউর রহমান চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন মতিউর রহমান চৌধুরী।
আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? মতিউর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র তাঁর কাছে নেই।
কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না।’
মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবুও এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনো না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।’
রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ সম্পর্কে তাঁদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাম-লীকে রাষ্ট্রপতি শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করা উচিত-জয়নুল আবেদীন ॥ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে অসত্য কথা বলায় রাষ্ট্রপতির নিজ থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যিনি পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন সেই সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এখনো বলেননি তাঁর কাছে কোনো পদত্যাগপত্র দিয়ে যান নাই। শেখ হাসিনা যে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এতে এ দেশের জনগণের বিন্দু পরিমাণও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ৫ আগস্ট যে বক্তৃতা করেছেন, তাতে তিনি যা বলেছেন, এখন যদি অন্য কথা বলেন তা হলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
পদত্যাগ নিয়ে সারজিস ও হাসনাতের প্রতিক্রিয়া ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি বলেন যে তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো ডকুমেন্ট নেই, তা হলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা ছাত্রসমাজ ঠিক করবে।
সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন সারজিস আলম। তিনি রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি বিবেকহীন দল, যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। তাদের নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা করা যুক্তিহীন। ফ্যাসিস্ট সিস্টেম এখনো বিদ্যমান। বিভিন্ন এজেন্সি ও কুচক্রী মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে এবং প্রয়োজনে আমরা আবার রাজপথে নামব।’
এদিকে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে; একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।’

 

×