ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না থেকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোমবার সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে নীলক্ষেত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বকশীবাজার, সাইন্সল্যাব, আজিমপুর কবরস্থানের দিকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে এ সময় অনেক যাত্রী যানবাহনে বসে থাকলেও অনেককে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের অযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাবি প্রশাসন ও সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত না নিয়েই অপরিকল্পিতভাবে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকাকালীন সাত কলেজে যেসব নিয়ম প্রচলিত ছিল, ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পরেও সেসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি। বরং ঢাবি প্রশাসনের উদাসীনতায় সাত কলেজে শিক্ষার মান ক্রমস হ্রাপ পেয়েছে। বিভাগভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার অনীহা, গবেষণার সুযোগের অপ্রতুলতা, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অনুপস্থিতি, শ্রেণিকক্ষের তীব্র সংকট, ল্যাব সংকট, আবাসন সমস্যা, পরিবহন সংকট, ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, একাডেমিক সিলেবাসের অস্তিত্ব না থাকা, সঠিকভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করা, ফরম ফিলাপ, ইম্প্রুভমেন্টে অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধিসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত কলেজগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষায় নানাবিধ সংকট উত্তরণে সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন তারা।
এ বিষয়ে আন্দোলনের সংগঠক ও ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, আমাদের ৭টি কলেজ দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বের হয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যেতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে বের হয়ে একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম চাই। সেটি হতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই দাবি নিয়ে আমরা অবরোধ করেছি। আমাদের দাআদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।