বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)
এভিয়েশন খাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে। কর্তৃপক্ষের মোট আয়ের ৮০ ভাগই আসে অ্যারোনটিক্যাল খাত থেকে, যেখানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ভূমিকাই মুখ্য। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে সমষ্টিগতভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
১৯৬১ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোলারস ডে উদযাপন হয়ে আসছে। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) ডিভিশন কর্তৃক বেবিচক সদর দফতর অডিটরিয়ামে এক স্মৃতিচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বেবিচকের অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সব কন্ট্রোলার, কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কন্ট্রোলারদের উপস্থিতিতে এটি একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান এবং বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদস্য (এটিএম) এয়ার কমডোর এ কে এম জিয়াউল হক।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের মতো দায়িত্বশীল ও ব্যতিক্রমধর্মী কাজকে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তথা সরকার এ খাতের উন্নয়ণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে ও নিচ্ছে। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নভোএয়ার, ইউএসবাংলা, এয়ার এস্ট্রা এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা।
আজাদ/শহিদ