ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১

দলীয় কর্মসূচিতে রিজভী

সরকারকে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

সরকারকে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতি রাতে কাওরান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। তাই সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আপনারা কী করেন? এতদিনেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না কেন? শনিবার দুপুরে রাজধানীর জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে বিএনপির পক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত, এখনো বাড়ছে। তা হলে জনগণ তো বলবেই এখন কেন দাম বাড়ছে, তফাৎটা কী? তাই অবিলম্বে সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের টাকা মারা আর বিদেশে তা পাচার করা। ম্যান পাওয়ার সিন্ডিকেট করে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটবাজরা হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। তখন শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদের কারাগারে পাঠানো হতো।
প্রাকৃতিক মহামারি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ভয়ংকর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন, আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে। রিজভী বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনেক জলাবদ্ধতা রয়েছে। এই জলাবদ্ধতা দূর করে সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকতে হবে। 
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
জিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ॥ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল। শনিবার সকালে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে ছাত্রদলের প্রায় ৩০ জন নেতা অংশ নেন। 
পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালনকালে সাংবাদিকদের রাজু আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার আমলে অযতœ, অবহেলা ও অরক্ষিত ছিল জিয়াউর রহমানের মাজার। এমনকি মাজার জিয়ারত কিংবা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমরা সাংগঠনিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তিনি বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আগামী দিনে পথ চলতে চাই এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল হলের সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক ইমন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রানা আহামেদ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক আহমেদ অরণ্য, বুটেক্সের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন কাজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা দীপু আহমেদ, তেজগাঁও কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম নাজিম, বাঙলা কলেজের ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম নয়ন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজসেবা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইনজাম শাওন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা রাইসুল ইসলাম মারুফ প্রমুখ।

×