ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

ডিম ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, স্বস্তি নেই সবজিতে

বাজারের উত্তাপ কমছে

এম শাহজাহান

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বাজারের উত্তাপ কমছে

সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি। শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল কলোনি বাজার

নিত্যপণ্য আমদানিতে শুল্কছাড় ও খোলা বাজারে সবজি বিক্রিসহ বেশ কয়েকটি সরকারি উদ্যোগে বাজারের উত্তাপ কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে কমছে দাম। প্রতিডজন ডিমে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬৫ টাকায়। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা। খোলা বাজারে (ওএমএস) সবজির মতো কৃষিপণ্য বিক্রি হওয়ায় নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। তবে দাম নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে ভোজ্যতেল, চিনি এবং ডিম আমদানিতে শুল্ক কমানো হলেও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আনুপাতিক হারে এসব পণ্যের দাম কমছে না। বরং শুল্ক সুবিধা নিশ্চিত করার পরও বেড়েছে ভোজ্যতেল এবং চিনির দাম। আর আলু আমদানিতে শুল্কছাড় থাকলেও বাজারে সেটির প্রতিফলন নেই। খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকার নিচে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। 
এদিকে, ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাজারে যারা কারসাজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের চক্র ভাঙতে হবে। এসব সিন্ডিকেট প্রতিদিন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য এই সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। শুধু তথ্য উপাত্ত আর আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিবর্তন হচ্ছে, এটা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন।

এ ছাড়া কারসাজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হলে শাস্তির আওতায় আসবেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলেও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম কমাচ্ছে না। 
অভিযোগ রয়েছে, মনিটরিং টিম বাজারে আসার আগেই খবর পেয়ে যান ব্যবসায়ীরা। আর তখনই তারা (ব্যবসায়ীরা) মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ পণ্যের দাম কমিয়ে দেন। মনিটরিং টিম চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের এই কৌশলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন দেশের সাধারণ ভোক্তা সমাজ। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, চলতি সপ্তায় আমদানির অনুমতি, নিয়মিত অভিযান ও শুল্ক কমানোর ফলে শুধু ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৪ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিডজন ডিম ১৫০ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এই দামও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। কারণ নির্ধারিত দামে প্রতিটি ডিম বিক্রি হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকায়। এ প্রসঙ্গে বাসাবোর বাসিন্দা আকতার হোসেন মজুমদার জনকণ্ঠকে জানান,  ১৬০ টাকায় ফার্মের এক ডজন ডিম কিনেছি। গত সপ্তাহের শুরুতে ডজন ১৮০ টাকায় কিনেছিলাম। তিনি আরও বলেন, সরকার শুধু দাম  বধে দিলে হবে না। নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি না সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা নাজমুল হোসেন বলেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।

তবে সরবরাহ আরও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান মতে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৪ কোটি আর উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে চার কোটি। তবু ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানো হলেও উল্টো এই দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে। কেজিতে ২ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২৭-১৩৫ এবং প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেলে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫২-১৫৬ টাকায়। এ ছাড়া টিসিবির তথ্যমতে প্রতি কেজি আলু মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। 
অর্থাৎ এতমাত্র ডিম ছাড়া আলু, ভোজ্যতেল এবং চিনিতে শুল্ক সুবিধা ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হয়নি। অথচ এসব পণ্যের দাম কমাতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আমদানিকারক, মিলমালিক এবং হিমাগার মালিকদের কাছ থেকে থেকে এসেছিল। সরকার ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এতে করে কষ্টে আছেন সাধারণ ভোক্তারা। উল্লেখ্য, বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলু, ভোজ্যতেলের পর ডিম ও চিনিতে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার।

সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ দুই পণ্যে শুল্ক ছাড়ের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬,০০০ থেকে কমিয়ে ৪,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই দিন আলাদা আদেশে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। এনবিআর বলছে, শুল্ক কমানোর ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩.৮০ টাকা কমবে। অব্যাহতির এ সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 
আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে এবং  ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য কমে সাধারণ ক্রেতার জন্য সহজলভ্য হবে বলে মনে করছে রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারি, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে। এর আগে ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

এখন পরিশোধিত চিনির সরবরাহ আরও বাড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যে আবার পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্কতে ছাড় হয়েছে। এতে চিনির মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। একইভাবে কৃষিপণ্য আলু আমদানিতেও শুল্কছাড় দিয়ে রেখেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, শুল্কছাড়ের সুবিধা ব্যবসায়ীরা পায় ঠিকই কিন্তু দাম না কমানোর কারণে এর সুফল ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছায় না। এক্ষেত্রে বরাবরই অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি থাকে। সম্প্রতি এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাও তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি সচিবালয়ে বলেন, বাজারে অসাধু ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ গ্রুপ রয়েছে। এদের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। বিষয়টি সরকারের নজরে আছে এবং এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে যারা বাজার অস্থিরতায় কাজ করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা শাস্তি পাবেন।

এ ব্যাপারে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, জাসদ ও সিপিবিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের পুরনো সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। আর এ কারণেই নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। 
এদিকে, কৃষিপণ্যের ওএমএসে ৩০ টাকায় মিলছে আলু এবং ১৩০ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবুজ শাক-সবজি বিদ্যমান বাজারদরের চেয়ে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি এই উদ্যোগে স্বল্প আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। ঢাকার অন্তত ২০টি স্থানে শুরু হয়েছে কৃষি পণ্যের ওএমএস কার্যক্রম। উচ্চ মূল্যের বাজারে ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে কম মূল্যে ডিম, সবজি বিক্রির এ কার্যক্রম সম্প্রতি উদ্বোধন হয়।

এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী- এই ওএমএস প্রকল্পের আওতায় প্রতিকেজি আলু ৩০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা, প্রতি কেজি  পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং সবুজ শাক-সবজি বিদ্যমান বাজারদরের চেয়ে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিভিন্ন পণ্য বিক্রির জন্য কমপক্ষে ২০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এই পাইলট প্রকল্প সফল হলে, বিক্রয় পয়েন্ট ও দিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কিনে রাজধানীর নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে সুলভ মূল্যে সবজিগুলো বিক্রি করা হবে। এদিকে, সরকারি উদ্যোগে ওএমএস কার্যক্রম চালু থাকলেও বাজারে  বেশিরভাগ শাকসবজি এখনো উচ্চ দরেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ এখনো কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম শীঘ্রই কমছে না। অন্যদিকে বড় উৎপাদক কোম্পানিগুলো সরাসরি আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু করেছে। এতে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে।

এ ছাড়া আগের সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি। দুই-একটি ছাড়া সব সবজির কেজিই ৮০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা। গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা,  ঢেঁড়শ ১০০ টাকা ও বরবটি ১৪০ টাকা।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ৪৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা  গেছে।
বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ।

বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক গবেষণায় সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম ৯গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়-উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, কম সরবরাহ, অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, উচ্চ পরিবহন খরচ, বাজারের আধিপত্য, সীমিত দর-কষাকষির ক্ষমতার বিষয়টির কারণে প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।  এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছতে কয়েকগুণ দাম বাড়লেও উৎপাদকরা পণ্যের ন্যায্য দাম পান না। কখনো কখনো মূল্যবৃদ্ধির জন্য পরোক্ষ খরচও দায়ী। আমরা যদি মজুত, পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় কমাতে পারি, তা হলে দাম তুলনামূলকভাবে কমে আসবে।

×