ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

রবিবার থেকে বিচার চলবে

১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪ বেঞ্চ পুনর্গঠন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪ বেঞ্চ পুনর্গঠন

১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪ বেঞ্চ পুনর্গঠন

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এসব বেঞ্চে আগামী রবিবার থেকে বিচার কাজ চলবে। 
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতি রয়েছেন ৬ জন। ২১ অক্টোবর থেকে আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চলবে। আর হাইকোর্ট বিভাগে রয়েছেন ১০১ বিচারপতি। হাইকোর্টের বিচারপতিদের থেকে ৮৩ বিচারপতিকে দিয়ে ২৯ টি দ্বৈত (দুই বিচারপতির) বেঞ্চ ও ২৫টি একক (এক বিচারপতির) হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। কোন বিচারপতিকে কোন বেঞ্চ দেওয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নির্দেশিত ২০২৪ সালের ২৯৪ নং বেঞ্চ গঠন বিধিতে বলা হয়েছে যে, আগামী ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০:৩০ মিনিট হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হলো।

‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে কোর্ট পরিচালনার জন্য বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না বলে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত বুধবার বিকেলে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।
সে সময় তিনি আরও বলেছিলেন, বিচারপতিদের অপসারণের কোনো বিধান এখন না থাকায় বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউটি আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে ১ নম্বর আইটেমে শুনানির জন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
গত ১৬ অক্টোবর উচ্চ আদালতের ওই ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত  হয়। ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা গণমাধ্যমকে জানান, ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এক্ষেত্রে-বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন। আর ২০ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করবে। পর্যায়ক্রমে কী হয় সেটা জানা যাবে।
এসব বিচারপতি আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করে তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা। অপরদিকে, নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ওই ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। পরে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়।
ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে রয়েছেন- নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, মো. আতাউর রহমান খান, খিজির হায়াত, শাহেদ নূর উদ্দিন, এসএম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এসএম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও  শেখ হাসান আরিফ।

×