ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের

সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও, আল্টিমেটাম

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১৯, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও, আল্টিমেটাম

বুধবার হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বক্তব্য রাখেন হাসনাত আবদুল্লাহ

আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিকে উচ্চ আদালতের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা কোনো বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। আগামী রবিবার সুপ্রিম কোর্ট খুলবে। ওই দিন বিচারপতিদের অপসারণ নিয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি হবে।

এটা নিয়ে ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেবেন।’ এদিকে আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ১২ বিচারপতিকে ‘ফ্যাসিস্ট’ দাবি করে তাদের অপসারণ চেয়ে আবারও আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রবিবার  বিকেল পর্যন্ত সময় দিয়ে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে ছাত্র সংগঠনটি।

এর আগে ১০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা। পদত্যাগকারী ৫ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ঘেরাও কর্মসূচি ও বিক্ষোভের মধ্যে কয়েকজন  বিচারপতি প্রধান  বিচারপতির  সঙ্গে  সাক্ষাৎ  করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বুধবার দুপুরে জানা যায়, সকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবেও কাজ করেছেন। এর মধ্যে সকালে চায়ের আমন্ত্রণে যান ৬ বিচারপতি। 
চায়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ১২ বিচারপতিকেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাছুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি আশিষ রঞ্জন ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। এরইমধ্যে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের দোসর বিচারপতিদের দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ ছাড়া সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া দলবাজ বিচারপতি হিসেবে চিহ্নিতদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। সাধারণ আইনজীবীরাও দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি জানান। মঙ্গলবার প্রকাশ্য এজলাসে আইনজীবীকে চড় মারতে চাওয়া এবং পুলিশে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খানের বেঞ্চ ভেঙে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এ ঘটনার পর ওইদিনই উচ্চ আদালতের বিতর্কিত বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে আইজীবীদের একটি অংশ। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্ট ভবনের মূল ফটকের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। আইনজীবী নেতারা বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও। এ সব ঘটনার মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। 
বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনার পর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন আজিজ আহমদ ভূঞা। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম।

এ সময় রেজিস্ট্রার জেনারেল ডা. আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, ‘আগামী রবিবার  আদালত খুললে বিচারকদের অপসারণ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তোলা হবে। ইতোমধ্যে ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’ রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আমরা আলোচনা করেছি। পরবর্তী সময়ে এই বিষয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। বিচারপতিদের পদত্যাগ কিংবা অপসারণের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।

কিন্তু আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। বিগত সরকার বিচারপতিদের অপসারণে একটি অ্যামেনমেন্ট নিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল করে দিয়েছে। এটি আবারও রিভিউর জন্য সরকার আবেদন করেছে। আগামী ২০ তারিখ রবিবার আদালত খুলবে। এটা নিয়ে ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেবেন।’ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে এসে এই তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এ ক্ষেত্রে বিষয়টা হলো  বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন। ইতোমধ্যে ১২ জন বিচারককে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, ২০ তারিখ তারা বিচারকাজ করতে পারবেন না। আমরা আশা করছি, ২০ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করবে। পর্যায়ক্রমে শুনানির মাধ্যমে বাকিগুলো আসতে হবে যোগ করেন তিনি।
রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় আশা করি রবিবার আসবে। বিচারপতিদের সেদিনই পদত্যাগ করতে হবে। রায়ের জন্য রবিবার বিকেল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। হাইকোর্ট, জজকোর্টসহ দেশের বিচারালয়ে দম্ভের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। যাদের হাতে দুই হাজার শহীদের রক্তের দাগ রয়েছে।

তারা চায় খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে। তাদের অপসারণে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নেই। তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবÑ ভিডিও দেখে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের ফ্যাসিস্ট ১২ বিচারপতিকে অপসারণের দাবিতে রবিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। রবিবার তাদের অপসারণ করা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের যাব। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছি। আমাদের আন্দোলনের প্রতিফলনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আমরা এ দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার দেখতে চাই না এবং ফ্যাসিবাদীদের কোনো ঠাঁই দেওয়া হবে না।’

বিচারপতি অপসারণে আবারও আল্টিমেটাম ॥ আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ১২ বিচারপতিকে ‘ফ্যাসিস্ট’ দাবি করে তাদের অপসারণ চেয়ে আবারও আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রবিবার বিকেল পর্যন্ত সময় দিয়ে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে ছাত্র সংগঠনটি। বুধবার বিকেলে সংগঠনের নেতারা এই ঘোষণা দেন। এ সময় তারা বলেন, রাষ্ট্র যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা রাষ্ট্রপতির ব্যাপারেও চিন্তা করব।

একই সঙ্গে তারা রবিবারের মধ্যে প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত না এলে অথবা বিচারপতিরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর আগে ওই বিচারপতিদের ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র।
হাইকোর্ট ঘেরাও-বিক্ষোভ 
আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও এবং বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। এছাড়াও ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
 বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে আইনজীবীরা সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা বলেন, রাষ্ট্রের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরাও দায়ী। এই বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের নির্দেশ ও ইচ্ছাকে আইনে পরিণত করেছেন। তাদের জন্যই এতো রক্তপাত হয়েছে। শেখ হাসিনা হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যার সাহস পেয়েছেন।

এত মানুষকে গুম, খুন ও হত্যার দায় এই বিচারপতিদেরও। তারা এই বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা তা এখনো করেননি। ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত  এই কর্মসূচি চলবে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল আদালত চত্বরে প্রবেশ করে। মিছিলটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ফ্যাসিস্ট বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত  আন্দোলন চলবে বলে জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পূর্বঘোষিত হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালনে দুপুরে এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হাজারো শিক্ষার্থীর মিছিল আসে। তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন।
 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ  বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর দলবাজ বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের যদি কেউ পুনর্বাসন করতে চায়, তাদেরও প্রতিহত করা হবে। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি চলবে না। ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিটি ঘটনার বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাসহ যারা বিদেশে পালিয়েছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা মিছিল স্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,’ ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, হাইকোর্ট ঘেরাও হবে,’ ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা,’ ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান  দিতে থাকেন।
ঘেরাওয়ের ঘোষণা সারজিস-হাসনাতের
হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা সারজিস-হাসনাতের বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার রাতে তাদের ফেসবুক ওয়ালে দুই সমন্বয়ক লিখেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি। বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হয়ে সেখান থেকে একসঙ্গে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রা।

আবারও কালো শকুনদের উৎখাত করতে রাজপথ প্রকম্পিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া দলবাজ বিচারপতি হিসেবে চিহ্নিতদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়া সাধারণ আইনজীবীরাও দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে।

×