ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

কেমিস্ট-ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

কেমিস্ট-ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদত্যাগ দাবি

বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মো. শাহ্ জালাল বাচ্চুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীলা। বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ডের ডিসিডিএস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পরিচালক আনোয়ার হোসেন মিরধা বেলু বলেন, গত ২০ মে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নির্বাচনে প্যানেল নির্ধারণের সময় একক ক্ষমতাবলে বিগত সরকারের মদতপুষ্ট লোকজনকে দিয়ে প্যানেল তৈরি করে বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ্ জালাল বাচ্চুসহ তার দোসররা।

তিনি বলেন, লোক দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট গ্রহণ দেখানো এবং নির্বাচন পরবর্তী  বেয়ারার নির্বাচনে কোনো নির্বাচন না করে নিজ ক্ষমতা বলে নিজেকে সভাপতি ও শেখ পরিবারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর মোজাম্মেল হককে সিনিয়র সহসভাপতিসহ ৭ জন সভাপতি নির্ধারণ করেন। পলাতক অবস্থায় দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় তিনি একজন সহসভাপতি এসময় মো. ময়নুল হক চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। যা গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং এই প্যানেলের অনেক সদস্যই সরাসরি ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতও নয়। তাদের এই অপকর্ম ও অরাজকতার প্রতিবাদে যারাই কথা বলেছেন, নির্বাচনের আগে তাদের প্যানেল থেকে বাদ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সারা দেশে ৫৪টি জেলাসহ অনেক উপজেলা/থানা ও বাজারভিত্তিক বিভিন্ন কমিটি রয়েছে। সর্বশেষ বিসিডিএস-এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে শাহ জালাল বাচ্চু নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেন। যিনি ৫ আগসের পর ২ দিন আগে সমিতির ৮ লাখ টাকা বকেয়া রেখে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। শাহজালাল বাচ্চু কেমিস্টস নন দাবি করে আনোয়ার হোসেন মিরধা বলেন, তিনি ঔষধের মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানির একজন ডিলার। তাই সাধারণ কেমিস্টদের কোনো দাবি পূরণ করতে সদিচ্ছ ছিলো না তার। তিনি বেশিরভাগ জেলা কমিটি, শাখা কমিটিতে নিজের র্স্ব্থা চরিতার্থ করার জন্য ইচ্ছেমতো পকেট কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। গঠনতন্ত্রের নিয়ম-নীতি না মেনেই তিনি কমটি গঠন করেছেন সব। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এই অবৈধ সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছি।

এর বাইরেও এসময় ড্রাগ ও কসমেটিকস ২০২৩ আইনে কেমিস্টদের ১০ বছরের জেল ও অর্থদ- প্রত্যাহার, দেশের সব শীর্ষ স্থানীয় যেকোনো ঔষধের ক্রয়মূল্য এক হারে নির্ধারণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত নেয়া ক্ষেত্রে ‘ঔষধ শিল্প সমিতির একক নীতিমালা’ ঘোষণা, পাইকারি ঔষধের জন্য লভ্যাংশ কমিশন ভিত্তিতে নির্ধারণ, নতুন লাইসেন্স বা নবায়ন অনলাইন ভিত্তিক চালু করাসহ আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।

 

স্বপ্না

×