ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

বিয়ের পর অভিনন্দনে সিক্ত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

বিয়ের পর অভিনন্দনে সিক্ত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ  ও তার বন্ধুরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতন পর্যন্ত আলোচিত সমন্বয়কদের অন্যতম হাসনাত আব্দুল্লাহ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় দুদিন ধরে সহচরদের অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছেন।

কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে পরিবারিক আয়োজনে ঘরোয়া পরিবেশে তার বিয়ে সম্পন্ন হয় শুক্রবার। তবে হাসনাত নিজে বিষয়টি পরিষ্কার না করায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হতে দেখা যায় তার শুভাকাঙ্ক্ষি ও সতীর্থদের।সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মেসেজ দিয়ে হাসনাতের বিয়ের বিষয়টি সত্য বলে তথ্য দেন।

বিয়ের বিষয়টি প্রথমে ‘গুজব’ বলে রসিকতা করেন হাসনাত নিজেই। অবশ্য বিয়ের কথা চাপা থাকেনি; তার একাধিক বন্ধু ও ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদারসহ অনেকের পোস্টেই উঠে আসে হাসনাতের বিয়ের প্রসঙ্গটি।

বাকী পোস্টে লিখেছেন, “অভিনন্দন ও শুভকামনা হাসনাত আব্দুল্লাহ, আল্লাহ দুজনকে বারাকাহ দান করুক।”

আবু বাকের রসিকতা করে লিখেছেন, “গতকাল আসিফ মাহমুদ ভাইয়ের গায়ে হলুদ ক্যান্সেল করা হয় হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইয়ের বিয়ের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে। হাসনাত ভাইয়ের অনুরোধে বিষয়টি পাবলিক করা হয়নি। খুব শীগ্রই আসিফ ভাইয়ের গায়ে হলুদ দিবো আমরা। আর হাসনাত ভাইকে অফিশিয়ালি অভিনন্দন।”

এদিকে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়ার বিয়ে হাসনাতের উপস্থিত নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কারণ, ঢাকায় জাকারিয়ার বিয়েতে যোগ দেওয়ার পর একই দিন তিনি কুমিল্লায় গিয়ে নিজে বিয়ে করেন।

বিষয়টি পরিষ্কার হয় জাকারিয়া ফেইসবুক পোস্ট থেকে। তিনি লিখেছেন, “জীবনে আমার সাথে ঘটে যাওয়া কাকতালীয় বিষয়গুলোর অন্যতম একটি হলো হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ও আমার বিয়ে একই দিনে হওয়া। নিজের বিয়ের ব্যস্ততা ফেলে রুমমেট ছোট ভাইয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ করে সন্ধ্যায় নিজে বিয়ে করার মত ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য হাসনাত ভাইকে অভিনন্দন। আর সারজিস আলম ভাইয়ের জন্য অগ্রিম শুভকামনা।”

হাসনাতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসনাতের স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে বর্ষ, হল ও বিভাগ সম্পর্কে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তার বন্ধু, সহপাঠী ও সহচররা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ ও বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাত স্কুল অব এক্সিলেন্স নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন তিনি।

৫ অগাস্টের পরও বিভিন্ন কর্মসূচি ঘিরে সরব ছিলেন হাসনাত। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া আনসারদের সরিয়ে দিতে শিক্ষার্থীদের মার্চে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত দিয়ে ও কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।

শহিদ

আরো পড়ুন  

×