ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

শাহজালালে রাডার প্রকল্প, ২১০০ কোটি টাকার কাজ ৬৫০ কোটিতেই সম্পন্ন

নজরদারির আওতায় পুরো আকাশপথ

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১০ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ০০:০১, ১১ অক্টোবর ২০২৪

নজরদারির আওতায় পুরো আকাশপথ

শাহজালাল বিমানবন্দরে স্থাপিত অত্যাধুনিক রাডার

অত্যাধুনিক রাডার বসানো হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ৪৫ মিটার উঁচু কন্ট্রোল টাওয়ারটি দূর থেকেই সবার চোখে পড়ে। কৌতূহলী পথচারীদের কাছেও এটা বিস্ময়কর স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। এরই মধ্যে রাডারটি চালু করা হলেও উদ্বোধনের জন্য আরও কিছু কাজ বাকি। বহুল আলোচিত রাডার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আগামী এপ্রিলেই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের বিখ্যাত কোম্পানি থ্যালাস।

বেবিচক বলছে, প্রকৃতপক্ষে নতুন রাডার দিয়ে অপারেশনাল কাজ শুরু হয়েছে গত বছর। এরই মধ্যে ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই রাডার দিয়েই বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমাসহ বাংলাদেশের আকাশ নজরদারির কাজ চলছে। এখন শুধু এটিসি টাওয়ার ও সিস্টেম ইনস্টলেশানের কাজের অপেক্ষা চলছে। আগামী জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ করে উদ্বোধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও এপ্রিলেই সেটা হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইঞা। তিনি বলেছেন, এমন একটি অত্যাধুনিক মানের রাডার বেবিচকের প্রয়োজন ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়েও গেল। এখন শুধু থ্যালাস বুঝিয়ে দেবে আর আমরা বুঝে নেব।

যদিও গত ২০২৩ সাল থেকেই এই নতুন রাডার দিয়েই দেশের আকাশপথের নজরদারি চালানো হচ্ছে। রাডার ও নেভিগেশনের পুরো সুবিধা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়। রাডারের কাজের সঙ্গে অটোমেশনের আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শেষ করতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় নিয়েছে থ্যালাস কোম্পানি। অত্যাধুনিক এই রাডার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এখন উড়োজাহাজ চলাচল আরও নিরাপদ হয়েছে। একইসঙ্গে নজরদারির আওতায় এসেছে দেশের পুরো আকাশ। এতে দেশে অবতরণ না করে যেসব উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে, সেগুলো থেকেও ফি আদায় করা যাচ্ছে। ফলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
বেবিচক সূত্রমতে, বর্তমানে ব্যবহৃত ৪৪ বছরের পুরনো রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থার কারণে বঙ্গোপসাগরের বড় একটি অংশের পাশাপাশি দেশের পুরো আকাশ নজরদারির আওতায় নেই। এতে ওভারফ্লাইং ফি পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ একবার আকাশ ব্যবহারের জন্য ‘ফ্লাইং ওভার ফি’ প্রায় ৫০০ ডলার। এতদিন পূর্ণাঙ্গ রাডার সিস্টেম না থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ। এ  অবস্থায় রাডার প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই একটি বিশেষ মহল নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। মাত্র ৬৫৮ কোটি টাকার কাজ যারা দুই হাজার একশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পিছু হটেছে, তারাই ফের নতুন করে মাঠে নেমেছে বিশেষ দুরভিসন্ধি নিয়ে।
বেবিচকের মতে, সারাবিশ্বে এখন ড্রোন দিয়ে অন্য দেশের ওপর নজরদারির প্রবণতা বাড়ছে। শাহজালালে থাকা রাডারটি পুরনো প্রযুক্তির হওয়ায় দেশের আকাশসীমায় নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া কোনো আকাশযান বা ড্রোন শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এতে দেশের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন বাস্তবতায় 
বসানো হয়েছে ফ্রান্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালাসের অত্যাধুনিক রাডার। থ্যালাসের স্থানীয় এজেন্টস দেশের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন লজিস্টিক সাপোর্ট কোম্পানি অ্যারোন্যাস। বিশ্বের অত্যাধুনিক এই রাডার সিস্টেমে রয়েছে হেলমেট, এডিএস-বি ও মাল্টিলেটারেশানের মতো সুবিধা, যা উড়োজাহাজের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম। ঢাকা থেকে ২৮০ নটিক্যাল কিমি পর্যন্ত দূরের আকাশসীমায় সবধরনের প্লেনের অবস্থান ও গতিপ্রকৃতির নির্ভুল চিত্র ধরা পড়বে।
বেবিচক জানিয়েছে, বহুল  আলোচিত এ রাডার স্থাপনের পেছনের ইতিহাস অনেক নাটকীয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে ব্যবহৃত সার্ভিলেন্স সিস্টেমটি প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রাডার সমন্বয়ে গঠিত, যা ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে সংস্থাপন করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হলেও বাংলাদেশে আধুনিক মাল্টিমোড (রাডার, এডিএস-বি ও এমল্যাট) রাডার সংস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৫ সাল থেকে। পরে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।

২০১৬ সালে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২১০০ কোটি টাকার প্রস্তাবে সায় দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করিম অ্যাসোসিয়েটসকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে বেবিচক। কিন্তু, সে সময় পত্র-পত্রিকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনভিজ্ঞতা, ব্যাপক লুটপাটের অভিসন্ধি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের তদন্তে অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রকল্পটি সে সময়ে আর আলোর মুখ দেখেনি। অথচ এ প্রকল্পের কোনো বিকল্প ছিল না। বর্তমানে মেয়াদ উত্তীর্ণ রাডার অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় দেশের বাণিজ্যিক আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করছে, যা ছিল দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির মানদ-ে প্রথম শ্রেণির বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ হবার জন্য মাল্টিমোড রাডার স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই।

সঙ্গত কারণেই উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যাত্রীবাহী এবং কার্গো বিমান চলাচল চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক এবং বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে পিপিপি পদ্ধতির পরিবর্তে নিজস্ব অর্থায়নে বেবিচক পুনরায় মাল্টিমোড রাডার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, বেবিচকের আগ্রহের ভিত্তিতে বাংলাদেশস্থ ফ্রান্স দুতাবাস কর্তৃক ২০১৮  সালে আলোচ্য রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কার্যক্রম ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সংস্থা ‘থ্যালেস লাস ফ্রান্স’ এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়।

বেবিচক এ বিষয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হয়, থ্যালাস রাডার সিস্টেমের যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং সংস্থাপনে বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশে সরবরাহকৃত রাডারটিও থ্যালেসের  তৈরি ছিল। পরবর্তীতে থ্যালেস ফ্রান্সের কাছ থেকে রাডার সিস্টেম এবং সংশিষ্ট অন্যান্য যন্ত্রপাতি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ৬৮ ধারার আওতায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) এর বিধান অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের জন্য ২০১৯ সালে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পাওয়া যায়।

তার পর  ২০২০  সালের নভেম্বরে  ফ্রান্সের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ অবস্থায়  থ্যালেসের কাছ থেকে প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ কারিগরি প্রস্তাবটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা এবং কমিটি নিরীক্ষা এবং মূল্যায়নপূর্বক করে। ওই প্রতিবেদনটি আইকাও টেকনিক্যাল কো অপারেশন ব্যুরোতে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়। আইকাও যাচাইয়ে থ্যালেসের কারিগরি প্রস্তাবটি সবুজ সংকেত পায়। এরপর বেবিচকের অধিকতর অনুরোধের প্রেক্ষিতে থ্যালাস ফ্রান্স সম্পূর্ণ প্রকল্পের জন্য (টেকনিক্যাল এবং সিভিল কাজ) ৬৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার মোট ব্যয়ে সম্মত হয়।

রাডার ইনক্লুডিং সিএনএস, এটিএম কমিউনিকেশন নেভিগেশন ও সার্ভিলেন্স এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে প্রকল্পটি  বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বেবিচক এবং থ্যালেস লাস ফ্রান্সের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলে কাজ। প্রকল্প পরিচালক নাসরিন সুলতানার ভাষ্যমতে, এর নব্বই শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। 
জানা গেছে, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর দেশের বাণিজ্যিক আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ সারভেইল্যান্স এবং অটোমেশনের আওতায় আসবে। ফলে বাংলাদেশের আকাশ হবে অধিকতর সুরক্ষিত। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির বিমানবন্দরের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ, যার ফলস্বরূপ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী বিমান চলাচল নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরে নতুন নিয়ন্ত্রণে আসা আকাশসীমার ওপর নতুন মাল্টিমোড রাডার সিস্টেমের অটোমেশন নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে অন্য দেশের উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে ‘ফ্লাইং ওভার চার্জ’ হিসেবে প্রতিবার আমাদের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য প্রায় ৫০০ ডলার করে উপার্জন করবে বাংলাদেশ।
এ প্রকল্পের শুরুতেই বিশাল ব্যয়ের পরিমাণ দেখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাডার বসানোর প্রথম উদ্যোগ বাতিল করেন। তারপর জিটুজি পদ্ধতি অবলম্বন করায় কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে প্রভাবশালী মহলের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় রাডার প্রকল্পটি এখন সবার নজর কাড়ছে। কিন্তু তখন হতাশ হয়ে বঞ্চিত কোম্পানির বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। দুই হাজার একশ’ কোটি টাকার প্রকল্প মাত্র ৬৫৮ কোটি টাকায় সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় এতদিন চুপ ছিল বঞ্চিত কোম্পানি করিম অ্যাসোসিয়েটস। বিগত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এখন নতুন করে এই রাডার প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
জানা গেছে, রাডারের পূর্ণাঙ্গ কাজের আরও ছয় মাস সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে রাডারটির আংশিক ব্যবহার করে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আকাশপথে ঝুঁকি এড়াতে নতুন রাডারের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য দেশের উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে ফি নেওয়ার বিধান আছে। তবে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে চলাচল করা ভিনদেশী উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এই অর্থ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ বছরের পুরনো রাডার ব্যবস্থাটি আছে, তার কার্যক্ষমতা শেষ হয়েছে বেশ আগেই।
এ রাডারটি দিয়ে আকাশপথে নজরদারি চালাতে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে। তার ওপর সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরে নতুন নিয়ন্ত্রণে আসা বিস্তীর্ণ এলাকার আওতার বাইরে থাকায় সে এলাকায় কোনো আকাশযান উড়ে গেলে তা জানতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে আকাশপথের সার্বভৌমত্ব।

×