ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

ডিসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উপদেষ্টা কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ডিসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উপদেষ্টা কমিটি গঠন

ডিসি নিয়োগে দুর্নীতির কমিটি গঠন

জেলায় জেলায় ডিসিদের পদায়নের ক্ষেত্রে ওঠা দুর্নীতি বা আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার ‘জেলা প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তকল্পে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ নামের এ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য নিতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

সরকারের পালাবদলের পর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই ধাপে ৫৯ জেলায় নতুন ডিসিকে পদায়ন করে। এ নিয়োগের পর আগের সরকারের সময়ে নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে অনেক সরকারি কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দাবি তুলে টানা কয়েকদিন জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের সামনে মহড়া দিতে থাকেন।

পরে ‘বিগত সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগীরা নতুন করে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন’ এমন অভিযোগও তোলা হয়। তখন নয়জন ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়। এরই মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষণ সম্বলিত কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁস হয়।

ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে দৈনিক কালবেলা পরপর দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করে বলা হয়, ওই আলাপচারিতা একজন যুগ্ম সচিবের সঙ্গে জনপ্রশাসন সচিবের। ডিসি নিয়োগে ‘৫ থেকে ১০ কোটি টাকা’ লেনদেনের কথা হয়েছে সেখানে।

যদিও স্বাধীনভাবে ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

গণহারে জেলাপ্রশাসক বদলাতে গিয়ে বিপুল অংকের আর্থিক লেনদেনের যে অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তাকে ‘মূল্যহীন’ বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “বিন্দু বিসর্গের সত্যতা নাই। এই প্রশ্ন করার আগে আপনারা নিজেকে প্রশ্ন করেন, আমাকে এই প্রশ্ন করা কতটুকু যৌক্তিক হচ্ছে।”

ডিসি নিয়োগ নিয়ে ওঠা এসব দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ে এখন উপদেষ্টাদের নিয়ে এ কমিটি করা হল।

শহিদ

×