ডোমার উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান
মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমার রং-তুলির আঁচড় শেষে চলছে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার কাজ। আজ বুধবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
নারায়ণগঞ্জ
শারদীয় দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। আজ বুধবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১৩ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। জানা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমার গায়ে রং তুলির আঁচড় এবং অলংকরণ করে ফুটিয়ে তুলছেন দেবীর সৌন্দর্য। যেন জীবন্ত রূপে ফুটে উঠছে প্রতিমাগুলো। অনেকেই দেবী দুর্গার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। কিছু কিছু ম-পে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
নীলফামারী
উৎসবমুখর পরিবেশে আজ বুধবার থেকে নীলফামারীর ৮১০টি পূজাম-পে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে ম-পে ম-পে। মঙ্গলবার দুপুরে ডোমার উপজেলার বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি প্রতিটি কেন্দ্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল সংস্থা কাজ করছে।
এদিকে জেলার ৮১০টি ম-পে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। অপরদিকে শান্তিশৃৃৃৃঙ্খলা রক্ষা এবং উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় উৎসব সম্পন্নে ম-পে ম-পে পুলিশ এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে পুরো জেলায়।
শিবালয়, মানিকগঞ্জ
পূজার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আজ বুধবার থেকে ষষ্ঠী পূজার আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় রাজসৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।
বাগেরহাট
ম-পে ম-পে প্রতিমার রং তুলির আঁচড় শেষে চলছে আলোকসজ্জাসহ সাজসজ্জার কাজ। বুধবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদোৎসব শুরু। বাগেরহাটের সব ম-পে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে ইতোমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে আনসার বাহিনীর সদস্যদের। পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল চলছে। এ বছর জেলার নয় উপজেলাতে ৫৯৭টি ম-পে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৩টি ম-পে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর, আনন্দঘন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হবে বলে আশা করছি।
পুলিশ সুপার বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে বাগেরহাট পুলিশ প্রাক-দুর্গাপূজা, দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপূজা পরবর্তী- এ তিন ধাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
মুন্সীগঞ্জ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ এই উৎসব ঘিরে গ্রামীণ জনপদে সাজ সাজ রব। প্রতিমা তৈরির সঙ্গে জড়িত কুমার সম্প্রদায় ছাড়াও পূজা কেন্দ্রীয় গ্রামীণ অর্থনীতিও এখন চাঙ্গা। আর এই পূজা ম-প ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৮৬টি ম-পকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৩০টি ম-পকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর বাকি ১২১টি ম-পকে সাধারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত জানিয়েছেন, সভা করে পূজার সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও পূজার প্রস্তুতি দেখতে সরেজমিনে বিভিন্ন ম-পে পুলিশ সুপারসহ পরিদর্শন করা হয়েছে।
দিনাজপুর
বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দিনাজপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এরইমধ্যে ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে ফুটিয়ে তোলার কাজ শেষ পর্যায়ে। অনেক পূজা মন্দিরের সব কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সাজসজ্জা, গেট, ম-প আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। এবার দিনাজপুর জেলায় ১ হাজার ২শ’ ১৪টি ম-পে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু জানান, এ বছর জেলায় ১ হাজার ২শ’ ১৪টি ম-পে আয়োজন করা হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মাটির কাজ শেষের পর রঙ-তুলির আঁচড়ে বর্ণিলভাবে প্রতিমার রূপ দেওয়া হচ্ছে। নিজের সন্তানের মতো অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি।
টাঙ্গাইল
নরম কাদা-মাটি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দশভুজা দেবী দুর্গার প্রতিমায় ভরে উঠেছে প্রতিটি ম-প। শিল্পীর নিপুণ হাতে তৈরি করেন দেবী দুর্গাকে। এ যেন প্রতিমা শিল্পীদের মায়ার বাঁধন। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্তজুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসবের। প্রকৃতি যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। একটু একটু করে দেবী দুর্গা রূপ নিয়েছে নিজ অবয়বে। নানান রং আর তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবীর প্রতিচ্ছবি। তাই ঘুম নেই প্রতিমা শিল্পীদের। রঙের আঁচড় আর সাজসজ্জায় দুর্গা দেবীকে সাজাতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের প্রতিমা শিল্পীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। চলতি বছর টাঙ্গাইলে ১১০৪টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর এই উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ম-প তৈরি থেকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের শিল্পীরা। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, পূজা উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। পুলিশ সুপারের অফিসে কন্ট্রোল রুম করতে যাচ্ছি। ১২৫ জনের মতো স্ট্রাইকিং পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। মোটরসাইকেলে প্রায় ৪৬৩ জন বিভিন্ন ডিউটিতে থাকবে। পুলিশের ২৮টি পিকআপ গাড়িতে ১১২ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে নজরদারি করবে।
ঈশ্বরদী
এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবীর আগমন হবে দোলায় ও গমন করবে ঘোটকে এমনটাই জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের আয়োজকরা। আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে উপজেলা ও পুলিশ, প্রশাসন এবং র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ঈশ্বরদীর একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে ৩২টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা উদযাপনকে ঘিরে ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বরদীর হিন্দু মহাজোটে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল রায়, সমর বারোআরী কমিটির সদস্য সচিব সমর কর্মকার জানান, ঈশ্বরদীর ৩২টি পূজা ম-পে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে।
মাগুরা
বুধবার মহাষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ম-পে ম-পে চলছে সাজসজ্জা গেট নির্মাণ ও লাইটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অনেক ম-পের সামনে বসেছে মেলা। নানা ধরনের দোকানপাট বসেছে। জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজায় জেলার ৪ উপজেলা ও একটি পৌরসভায় মোট ৫৪৫টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঝালকাঠি
পূজাম-পের আনুষ্ঠানিক সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ৭৪টি পূজা ম-প, নলছিটি উপজেলায় ২৩টি, রাজপুর উপজেলায় ১৯টি ও কাঠালিয়া উপজেলায় ৪১টি পূজা ম-প রয়েছে। ইতোমধ্যেই শান্তিশৃঙ্খলা ও ম-পের নিরাপত্তায় কিছু কিছু ম-পে পুলিশ ও আনসার ২ দিন পূর্বেই নিয়োগ করা হয়েছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৩১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৬২ এসআই ও ৬১ জন এ এসআই এবং ২৪৩ জন পুলিশ সদস্যসহ ৩৯৯ জন পূজা ম-পের দায়িত্ব পালন করছেন।
খাগড়াছড়ি
জেলার ৬১টি পূজা ম-পে চলবে শারদীয় দুর্গোৎসব। শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা পালনের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা ম-প সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শারদীয়া দুর্গোৎসবকে ঘিরে প্রতিটি পূজাম-পে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়ে প্রতিমা রাঙিয়ে তোলার কাজ।
কোন কোন ম-পে চলছে মঞ্চ ও আবহ সাজানোর কাজ। আশা করছেন ষষ্ঠীর আগে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার। জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানান, জেলায় শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। টহলে থাকবে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। মোতায়েন থাকবে পুলিশের মোবাইল টিম ও স্টাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, আনসার ও ভিডিপি সদস্য।
লালপুর, নাটোর
উপজেলার ৪০ পূজা ম-পে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিটি মন্দিরে নিয়মিত টহল চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ ও আনসারসহ গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
খুলনায় পূজা উপলক্ষে এসপির মতবিনিময়
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন খুলনা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার টি. এম. মোশারফ হোসেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি তার নিজ দপ্তরে এ মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ও তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সাঙবাদিকদের পক্ষে খুলনা প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক নবাব, সদস্য সচিব রাফিউল ইসলাম টুটুলসহ কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রিফিং প্যারেড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিউটিতে নিয়োজিত হওয়ার প্রাক্কালে অফিসার ও ফোর্সদের এক ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গবার পুলিশ লাইন্স ড্রীল শেড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন পিপিএম এর সঞ্চালনায় ব্রিফিং প্যারেডে সভাপতিত্ত্ব করেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
মাগুরায় দুর্গাপূজার বাজার জমে উঠেছে
দুর্গাপূজার বাজার জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে শাড়ি কাপড়, জুতা ও কসমেটিক দোকানে ভিড় বাড়ছে। দোকানগুলোতে ভালো বেচাকেনা চলছে। শহরের বেবী প্লাজা , নূরজাহান প্লাজা, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, বকসি মার্কেট, জুতা পট্টি, হাজিপুর মার্কেট প্রভৃতি মার্কেট ও দোকান গুলিতে পূজার বাজার করতে দেখা যাচ্ছে। গার্মেন্টস ও শাড়ি কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে।
বরিশালে সনাতনীদের পাশে বিএনপি নেতারা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সুন্দর, সাবলীল ও নির্বিঘেœ উদ্যাপন উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলার সকল দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গৌরনদী বন্দরস্থ উপজেলা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে গনেশ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার সাদাত তোতা, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মোরশেদ মাসুদ, গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম ফকির, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হাওলাদার, আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শোভন রহমান মনির, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল ইসলাম বাহার, গৌরনদী উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ কুন্ডু প্রমুখ।
কাউখালীতে নাশকতার হুমকি নেই
কাউখালীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেছেন জেলার সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় আখড়াবাড়ি পূজাম-প এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় এক সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় নাশকতার কোনো হুমকি নেই। আপনারা নির্ভয়ে আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দেব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা, ক্যাপ্টেন আনাস, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সোলায়মান, প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাফেজ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
পোরশায় ম-প পরিদর্শনে ইউএনও
পোরশায় বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেছেন ইউএনও আরিফ আদনান। তিনি মঙ্গলবার মশিদপুর ইউপির বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেন। তিনি পূজাম-পগুলোর সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহমুদুল হক টিটো তার সঙ্গে ছিলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান থেকে জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান সেনা জোনের হলরুমে বান্দরবান রিজিয়ন এবং সদর জোনের আয়োজনে জেলা সদরের আটটি পূজাম-পের প্রতিনিধিদের হাতে নগদ অনুদানের অর্থ ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন বান্দরবান সদর জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএসএম মাহমুদুল হাসান। সদর জোনের ক্যাপ্টেন আব্দুল মান্নান, লেফটেন্যান্ট মোস্তাহিদুর রহমান মৃধাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।