ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

যত টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ২১:২৪, ৭ অক্টোবর ২০২৪

যত টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ

পাচার করা টাকা : প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় বড়  মাফিয়ারা অনেকটা চিহিৃত। তারা অর্থনীতির মাফিয়া হিসেবে বিপদে ফেলেছে পুরো দেশকে। দেশের অর্থনীতি হাবুডুবু খাওয়ার কারণও তারাই। তবে, দুঃখজনক, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দেড় দশকের টানা শাসন আমলে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি, উল্টো গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি করা হয়। 

অর্থনীতির সব বিপদকারীদের তালিকায় শীর্ষে-অর্থপাচারকারীরা, যাদের কারণে বাংলাদেশ শীর্ষ অর্থপাচারকারী দেশের তালিকায়। অন্তবর্তীকালীন সরকারের বয়স দুই মাস। আর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার মনোযোগ দিয়েছে পাচারের অর্থ ফেরত আনতে।


বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়ন্দা ইউনিট পাচার ঠেকাতে কাজ করে, আবার ফেরত আনতে আছে উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি কমিটি। তবে দেশ থেকে বছরে কি পরিমাণ অর্থ পাচার হয় তার কিন্তু হিসাব নেই কারো কাছে। যদিও, এখন বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুৎ আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ২ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।


শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদেশে সরানো ২ লাখ কোটি টাকার খোজে বাংলাদেশ। অন্তবর্তী সরকার যুক্তরাজ্যসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দারস্থ হচ্ছে। তদন্তুও শুরু করেছে সরকার। সরকার মনে করছে, সাবেক সরকারর সহযোগীরা যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরে সম্পদ গড়ে তুলেছেন দেশ থেকে অর্থ সরিয়ে।


শেখ হাসিনার সরকাররে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান। তার যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের কথা সবারই জানা। তার ১৫ কোটি পাউন্ডের সম্পদের খোজ নিতে চলছে চিঠি চালাচালি। রাজনৈতিক সুশাসন না থাকায় দেশ থেকে অর্থপাচার হয়েছে, এটি সত্য, আর এতো দিন এটি নিয়ে মুখে কথা বললেও, কার্যত কোন পদক্ষেপ ছিলো না।


এটি দৃশ্যমান, সরকার অর্থপাচারকারীদের শান্তিতে আর ঘুমাতে দিতে চায় না। কিন্তু প্রশ্ন, পাচারের অর্থ ফেরত আনা কতটা সহজ। ফেরত আনার বড় কোন নজির কিন্তু নেই। তাছাড়া যেসব দেশে অর্থ চলে গেছে, তারা কতটা আন্তরিক হবে সেই শঙ্কাও রয়েছে।


বাংলাদেশ বিদেশ র্অথপাচারের তালিকায় থাকা দেশগুলোর র্শীষে থাকলেও, লাগামহীন পাচারের অর্থ ফেরত আনাটা কঠিন, জটিল। তবে আনা যাবে না এমনটি কিন্তু নয়। কিন্তু জাতির সঙ্গে মশকরা করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্তী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছিলেন, কারা অর্থপাচার করে সেই তালিকাই নাকি তার কাছে নেই।


বিদেশে যে সম্পদ সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তা হয়তো অল্প সময়ে আসবে না, কিন্তু সরকারের উদ্যোগে সেসব দেশ সম্পদগুলো ফ্রিজ করতে পারে, করতে পারে জব্দ। এর উদ্দেশ্য, যাতে ওই অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি তুলে নিতে না পারে। তাহলে কি পাচারকারীরা নিজেদের সম্পদ হারাবেন।


প্রশ্ন ওঠেছে, যারা পাচার করে সম্পদ বিদেশে নিয়ে বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তাদের কি হবে? এমন তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামের বিতর্কিত ব্যবসায়ি এস আলম। এই এস আলম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ট পোশকতায়, দেশ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে গেছেন, অনেকে মনে করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানতেন একথা।


তবে, আইন কানুন বলছে, তিনি নাগরিকত্ব ছাড়লেও সমস্যা নেই। পাচারকারী ব্যক্তি কোন দেশ থেকে অর্থ নিয়েছেন সেটি বিবেচনা করা হয় আইনে। আর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে বাড়াতে হবে কূটনৈতিক যোগাযোগ।  

ফুয়াদ

×