ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে গেল গণত্রাণের ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২ অক্টোবর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে গেল গণত্রাণের ৮ কোটি টাকা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের কাছে চেক তুলে দেন সমন্বয়করা 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বন্যার্তদের সহায়তায় সংগ্রহ করা ত্রাণ থেকে আট কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের কাছে আট কোটি টাকার চেক তুলে দেন সমন্বয়করা।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সংগৃহীত ত্রাণের অর্থ প্রদান করার জন্য এসেছেন। তাদের সংগৃহীত ত্রাণ নয়, এটা বাংলাদেশের প্রাণ। এখানে শিশু, কর্মজীবী মানুষ, গৃহবধূর- দেশের আপামর জনগণ তাদের সাধ্যমতো এ তহবিলে দান করেছেন। তাদের সেই সংগৃহীত অর্থ আজ দিতে এসেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, যে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম টিএসসিতে হয়েছে, সেখানে আমি একজন প্রতিনিধি ছিলাম, আমার সঙ্গে আরও প্রতিনিধি রয়েছেন এখানে। টিএসসিতে আমাদের যে ত্রাণ কার্যক্রম হয়েছে গতকাল সেটার পূর্ণাঙ্গ অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছি। সব আয়-ব্যয়ের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা আছে। সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে আট কোটি টাকা আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে হস্তান্তর করবো।

তিনি বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে একটি জাতীয় বন্যা পুনর্বাসন কমিটি করা হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে। সেখানেও আমাদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আমরা চাই আমাদের এই টাকাটা সাধারণ মানুষের পুনর্বাসনে পৌঁছে যায়। আমরা ওয়াচডগ হিসেবে তদারকি করবো। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকে আট কোটি টাকা হস্তান্তর করছি। বাকি যে এক কোটি ৯১ লাখ টাকা রয়েছে সেটা উত্তরবঙ্গে বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করা হবে। গত পরশু সেখানে আমাদের পাঁচটি টিম গেছে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।

তিনি আরও বলেন, টিএসসিতে গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে নগদ অর্থ এসেছে ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা। ইতিমধ্যে আমরা ব্যয় করেছি এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে আমরা ত্রাণ কিনেছি, গাড়িভাড়া দিয়েছি। এক্ষেত্রে ২০০ ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দুই লাখ ত্রাণের প্যাকেট আমাদের গেছে।

 

শহিদ

×