ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
রাজধানীর গুলশান থেকে রফিক (৬২) ও সাব্বির (১৫) নামে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে গুলশান থানা পুলিশ। তবে মরদেহের সুরতহাল না দেওয়ায় আগামীকাল রবিবার মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত হবে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ জানান, গুলশান-২, রোড নাম্বার ১০৮ এর ২১ নম্বর প্লট থেকে রফিক ও সাব্বির নামে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা, দুই জনকে গত বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। লাশ কিছুটা পচে দুর্গন্ধ বেরিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা হুমায়ুন কবির জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়। রফিকুল গুলশানের ওই প্লটে প্রায় ২০ বছর ধরে থাকতেন। সেখানে প্লট দেখাশুনা করতেন। একটি মুদি ও চায়ের দোকানদারি করতেন। ওই দোকানের ভেতরে একটি কক্ষে ঘুমাতেন।
তিনি জানান, রফিকুলের বড় ছেলে বাপ্পি নারায়ণগঞ্জে থাকেন। গত দুইদিন ধরে বাবা রফিকুল ইসলামকে ফোন দিয়ে পাচ্ছিলেন না। গতকালও কয়েকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। নিরুপায় হয়ে গুলশানে কয়েকজনকে ফোন দিয়ে তার বাবার খোঁজ করতে বলেন। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে মেইন গেটে তালা দেখতে পায়। এজন্য শনিবার সকালে বাপ্পি নিজেই গুলশান ওই এলাকায় বাবার খোঁজ করতে যান। সেখানে গিয়ে মেইন গেটে তালা ঝুলতে দেখে দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেন। সেখানে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে গুলশান থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। এরপর মূলত থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেতরে ঢুকে তার বাবা রফিকুল ও সাব্বির নামে এক কিশোরের মরদেহ দেখতে পায়। তবে কারা, কেন তাদের ২ জনকে খুন করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি তিনি।
নিহত সাব্বিরের মামাতো ভাই আব্দুল খালেক জানান, তাদের বাড়ি তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলায়। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাব্বির ছিল সবার ছোট। তার বাবা মো. হেকিম মাছের ব্যবসা করেন। গত ১৫দিন আগে বাড়ি থেকে রাগ করে ঢাকায় চলে এসেছিলো সাব্বির। এরপর সাব্বিরের আরেক মামাতো ভাই আব্দুল মালেক গুলশানে রফিকুলের চায়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজে দিয়ে দেয় তাকে। এরপর থেকে সেখানেই থাকতো। আজ সকালে সাব্বিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আসেন স্বজনরা।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, মরদেহ দুটির মাথা, গলা,সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেটা চেক করা হচ্ছে।
এম হাসান