ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

নির্বাচনের আগে ৪-৫টি বাস্তবায়ন চায় দলটি

বিএনপি ৩১ দফা সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি করছে

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপি ৩১ দফা সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি করছে

.

৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে জনমত তৈরি করছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাত্র ৪ থেকে ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন চায় দলটি। বাকি প্রস্তাবগুলো নির্বাচনের পর সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়নের পক্ষে তারা। আর এ জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কারের জন্য বেশি সময় না নিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। 
প্রায় দেড় বছর আগে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করে বিএনপি। দল ক্ষমতায় গেলে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের কথা বলে সারাদেশে জনমত তৈরি শুরু করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এ বিষয়ে জনমত তৈরির কাজে ভাটা পড়ে। তবে দলের জন্য অনুকূল পরিবেশ এনে দেয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গ্রেপ্তার ও আরও অনেক নেতা বিদেশে চলে যাওয়ায় দলটিতে নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দেয়। এ ছাড়া সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হওয়ায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে চলে যায় তারা। 
এদিকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর সার্বিকভাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে আসায় সারাদেশে গণসংযোগ করে নতুন উদ্যমে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে জনমত তৈরি করতে থাকে দলের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যেই এই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর মাঝে জনমত তৈরিতে সক্ষম হয় বিএনপি। দেশের বাইরেও বিভিন্ন মহলে বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব আলোচনায় স্থান পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর এ পর্যন্ত যতগুলো দেশের রাষ্ট্রদূত বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তাদের প্রত্যেকেই বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং জানার পর ইতিবাচক মন্তব্য করেছে বলে বিএনপি সূত্র জানায়। 
বিএনপি সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারেও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব স্থান দেওয়া হবে। ক্ষমতায় গেলে কিভাবে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে তাও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। সমমনা দল ও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের মতামত নিয়ে বিএনপি প্রায় দেড় বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।

এই সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল ইতিবাচক মন্তব্য করলেও বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় এ বিষয়টি কার্যত ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। 
এ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নির্বাচনের আগেই বেশ কিছু সংস্কার করতে চায়। এ জন্য বেশ ক’টি কমিটিও করা হয়েছে। তবে বিএনপি চায় অধিক সংখ্যক সংস্কার কাজে হাত দিলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে বেশি দেরি হয়ে যাবে। তাই যেগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য জরুরি এমন সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন দিলে নির্বাচনের পর নতুন সরকার অন্য সংস্কারগুলো জাতীয় সংসদে আলোচনা করে সাংবিধানিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমরা অনেক আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। এই সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে। তবে আমরা বলছি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। আর নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকার অন্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে। 
বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে ৪ থেকে ৫টি প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চায় সেগুলো হচ্ছেÑ ১. ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োাগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা। ২. একটি প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন পুনর্গঠন করা। ৩. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করা। ৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ‘ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার’ অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। ৫. বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করা। 
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছেÑ ১. একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত সব অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা। ২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য একটি ন্যাশনাল রিকনসিলেশন কমিশন গঠন করা। ৩. একটি নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। ৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা। ৫. পর পর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা। ৭. সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা। ৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা। ৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করা। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা। ১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বর্তমান বিচার  ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিসিয়াল কমিশন গঠন করা। ১১. একটি প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন পুনর্গঠন করা। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করা।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা। ১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ‘ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার’ অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। ১৫. বিশেষজ্ঞদের  সমন্বয়ে একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করা। ১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা। পাটকল, বস্ত্রকল, চিনিকলসহ সব বন্ধ শিল্প পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া। প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন, মর্যাদা ও কর্মের নিরাপত্তা এবং দেশে বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে হয়রানিমুক্ত সেবাপ্রাপ্তি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা। ১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা।
১৯.  বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া। বাংলাদেশের ভূ-খ-ের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা। ২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা। ২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা এবং তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা। ২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া। ২৫. চাহিদাভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া। ২৬. সবার জন্য স্বাস্থ্য এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’-এর আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা। সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু করা ২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে কৃষি পণ্যের জন্য সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন এবং গবেষণার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট রপ্তানিমুখী কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প খাতকে প্রণোদনা দেওয়া। 
২৮. দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌপথের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সারাদেশে সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দেশের সমুদ্রবন্দর ও নৌবন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা।

২৯.  জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও ক্ষতি মোকাবিলায় টেকসই ও কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করা। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। নদী ও জলাশয় দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বন্যা ও খরা প্রতিরোধে খাল ও নদী খনন ও পুনর্খনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। সামুদ্রিক সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত জরিপ ও মজুতের ভিত্তিতে তা আহরণ এবং অর্থনৈতিক ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া।  
৩০. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া। মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক সুযোগ সমৃদ্ধ করা। এবং ৩১ নম্বর দফায় রয়েছেÑ জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শহরে ও গ্রামে কৃষি জমি নষ্ট না করে এবং নগরে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ হ্রাস করে পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়ণের নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। পর্যায়ক্রমে দেশের সব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন নিশ্চিত করা। এই ৩১ দফার মধ্যে ৮, ১১, ১২, ১৪ ও ১৫ এই ৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৪টি অথবা ৫টি সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন নির্বাচনের আগে চায় বিএনপি।
 

×