ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী

ইসি সংস্কার করে নির্বাচনে বেশি সময় লাগার কথা নয়

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসি সংস্কার করে নির্বাচনে বেশি সময় লাগার কথা নয়

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের ১৬তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে খুন-গুমের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানকে কেটে নিজেদের মতো করে একটা মুড়ির ঠোঙা বানিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরশাসকের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্ব চায়। কারণ, শেখ হাসিনা থাকলে ভারত বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী মন্ত্রী যখন ধৃষ্টতাপূর্ণ কথাবার্তা বলেন তখন বাংলাদেশের মানুষের তো আবেগ থাকতেই পারে। ভারত যখন হেয় করবে, অবহেলা করবে, ঘৃণা করবে তখন তো আমাদের মধ্যে আবেগ আসবেই। বাংলাদেশের জনগণকে তারা পছন্দ করে না, জনগণের সঙ্গে তারা বন্ধুত্ব চায় না। 
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আমাদের একজন উপদেষ্টা বলেছেন ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়। এখানে আবেগে কথা বললে হবে না। বাঙালি জনগোষ্ঠী ভারতেও আছে, দুর্গাপূজার সময় ইলিশ তাদের কাছে একটি বড় উপাদান। সেটা আমরা জানি। আমরা কোনোদিনই ইলিশ রপ্তানিতে বাধা দিইনি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন, ‘বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ তখন তো আমাদের মধ্যে আবেগ তৈরি হবেই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের গোটা জাতিই তো নিজ দেশ নিজ নিজ রাষ্ট্রের ব্যাপারে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হতেই পারে। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমি কেন বলব না- আমরা ইলিশ মাছ দেব না ভারতকে।
রিজভী বলেন, বলেন, আমরা কোনোদিনই ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানিতে বাধা দিইনি। আমরা নিজেরাই মাঝারি থেকে ছোট ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনি। বাড়তি দাম মেনে নিয়েও আমরা কিন্তু ইলিশ রপ্তানি করি। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি।  
রিজভী বলেন, দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সব সময় হয়ে এসেছে। কিন্তু আবেগ তখনই আসে যখন আমাদের হেয় করে আমাদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হয়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করি, কিন্তু তাদের সংকট হলে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। রপ্তানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে দেয়। তারা কিন্তু আমাদের এক ইঞ্চিও ছাড় দেয় না। ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে তখন তো আমাদের মধ্যে আবেগ চরম আকার ধারণ করবেই।

×