মজনু
রাজধানীর কুর্মিটোলায় চার বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন কাশিমপুর কারাগারে হামলার মধ্যে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার মধ্যরাতে ঢাকার কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পেছনের রেললাইনের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে রবিবার পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, মজনুকে গ্রেপ্তারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় পালিয়ে আত্মগোপনে যায় মজনু। এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন তার বাবা।
ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে।
ঘটনার তিন দিন পর মজনুকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাকে শনাক্ত করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
শহিদ