.
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মীর টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে কারোর কোনো মাথাব্যথা নেই। কবে নাগাদ টাকা ফেরত পাবে ভুক্তভোগীরা -সে নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছে না। দুদক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ নিয়ে সক্রিয় থাকলেও টাকা আত্মসাৎকারী আদম ব্যাপারীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এমনকি দেশ বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এ ঘটনায় থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলেও এখনো তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে পারেনি- ঠিক কি পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সবাই যে যার মতো গড় পড়তা হিসাব করে বলছে -টাকার আনুমানিক হিসাব। যেমন- ১৬ হাজার ৯৭০ জনের বিপরীতে ন্যূনতমকর্মী প্রতি ৫ লাখ টাকা ধরে মোট হয় ৮৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত এই পরিমাণ টাকা ধরেই পুলিশ ও দুদক অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও বায়রার পক্ষ থেকেও এ হিসেবের যৌক্তিকতা স্বীকার করা হচ্ছে না।
বায়রা সূত্রের মতে-কী পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে কিংবা কতজন টাকা পাবে সেই তথ্য জানা নেই। বায়রার পলাতক সভাপতিও এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। তবে এ খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা জানান, কর্মীরা যে টাকা দিয়েছেন তার পুরো অর্থ এজেন্সি দিতে পারবে কি না এটা নিয়ে সংশয় আছে। কারও পুরো টাকা তো এজেন্সি পায় না, কিছু ক্ষেত্রে কয়েক হাত বদল হয়। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. জালাল উদ্দিন শিকদার বলেন, কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে এবং কারা নির্দিষ্টভাবে এইটার সঙ্গে যুক্ত, তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের চিহ্নিত করা উচিত। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। কত টাকা এবং কারা এর সঙ্গে যুক্ত, এসব তথ্য বের করতে হবে। তবে কোনো নথি না থাকায় টাকা আদায় করা সহজ হবে না বলে মনে করি।
জানতে চাইলে খন্দকার ওভারসিজের আবু আশফাক আহমেদ জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার কেলেংকারির হোতারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। বায়রার কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে, মামলা মোকদ্দমা চলছে। নতুন নেতৃত্ব প্রৃতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে যারা এখনো মাঠে আছেন নতুন জার্সি গায়ে দিয়ে তাদের পাকড়াও করতে হবে। যেমন-কাজী এয়ারের কাজী মফিজুর রহমান টপ টেন সিন্ডিকেট, থেকে হান্ডড্রেড সিন্ডিকেট পর্যন্ত সে মালয়েশিয়াগামী লোকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে দোর্দ- প্রতাপে আদম ব্যবসায় থেকে মালয়েশিয়াগামীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন আবার রাতারাতি বিএনপি সেজে মাঠে সক্রিয় হয়ে আবারও সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে থাকার চেষ্টা করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের মতো সব সুবিধাভোগীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের নিয়ন্ত্রণ ছিল ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির হাতে। যারা ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। তবে তারাই এখন উল্টো দায় চাপাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর। তাদের মতে- অনেকের কাছে থেকে ৪ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেওয়ার কথা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা শুনেছি। এটা একটা দালাল- শ্রেণি অথবা মধ্যস্বত্বভোগী কেউ না কেউ এই টাকাটা নিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ভিসা ও কাগজপত্র হলেও শুধু ফ্লাইটের টিকিট না পাওয়ায় যাওয়া হয়নি এই ১৬ হাজার ৯৭০ জনের। তাদের সবার টাকার গড় একটা হিসাব তৈরি করে তদন্তকারীরা অভিযোগ প্রমাণ করতে কাজ করছে। তদন্তকারীদের মতে- কর্মীপ্রতি ৫ লাখ টাকা হিসেবে ৮৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আটকে আছে জনশক্তি রফতানিকারকদের কাছে। অর্থ ফেরতের জন্য দুই দফা সময় বেঁধে দেওয়া হলেও বেশিরভাগ কর্মী কোনো টাকা বুঝে পাননি। মালয়েশিয়া সরকার গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয় কর্মী নেওয়ার জন্য। সিদ্ধান্ত ছিল- ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পর নতুন করে আর কর্মীর চাহিদাপত্র ইস্যু করবে না তারা। এর আগে ইস্যু করা চাহিদাপত্রে ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশ করা যাবে, এর পর আর বিদেশী কোনো কর্মী সে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সেই সিদ্ধান্তের পর অনেকেই কাগজপত্র ঠিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেনি রিক্রুটিং এজেন্সি। এভাবেই তাদের কপাল পুড়েছে। জানা গেছে- গত ৩১ মে পর্যন্ত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। এসব কর্মীর সম্পূর্ণ অর্থ রিক্রুটিং এজেন্টদের পরিশোধ করার কথা ছিল। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মাধ্যমে সেটি নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও তেমনটি এখনো হয়নি। অথচ মালয়েশিয়ার ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছিল তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থান অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। কমিটিকে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের হয়রানি বন্ধ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মাকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল। তবে কমিটি রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর দায় চাপিয়ে একটি দায়সারা রিপোর্ট জমা দিলেও এ নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। কমিটির রিপোর্টে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে কোনো এজেন্সি কত কর্মী পাঠাতে পারেনি তার ধারণা ছিল রিপোর্টে অস্পষ্ট। তদন্ত প্রতিবেদন তখনকার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হলে তারাও প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানায়। কারণ- যেতে না পারা কর্মীদের প্রকৃত সংখ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ কো হয়নি। এ ছাড়া তদন্তের সময়ে কমিটির কাছে কর্মীদের প্রায় ৪ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেই সময় দায়িত্বরত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরত দেবে বায়রা। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ১৮ জুলাই ছিল অর্থ ফেরত দেওয়ার শেষ সময়। এ অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠা আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে এখনো বায়রা অফিসের সামনে প্রতারিতদের আনাগোনা চোখে পড়ে। ভিটে বাড়ি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়েও তারা শেষ মূুহূর্তে যেতে পারেনি। এমনই একজন ভুক্তভোগী নীলফামারীর সুজন জানিয়েছেন- তিনি গত কয়েক মাস ধরে দালালকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিল দালাল। বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মালয়েশিয়া যাওয়ার পর দেওয়ার কথা ছিল। তবে সুজন ফ্লাইটের টিকিট আর হাতে পাননি। ৩১ মে পর্যšত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করে ফেরত চলে আসেন। এর পর থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য দালালকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
কবে নাগাদ তারা টাকা পাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান- এটা এখনো অনিশ্চিত । কেউ বলতে পারছে না কিভাবে এ টাকা আদায় করে ফেরত দেওয়া হবে। বরং দিন দিন বিষয়টি আরও জটিল হচ্ছে। অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিলেও পুরো অর্থ না পাওয়ার শঙ্কাই বেশি। কারণ- কর্মীরা বিদেশ যেতে দালালদের মাধ্যমে অনেকেই রিক্রুটিং এজেন্সির শরণাপন্ন হন। আবার কেউ কেউ সরাসরি দালালকে পুরো টাকা দেন। এক্ষেত্রে অর্থ বিনিময়ের কোনও প্রমাণ থাকে না। অর্থাৎ টাকা যে দেওয়া হয়েছে তার কোনও ডকুমেন্ট দেওয়ার প্র্যাকটিস নেই। এখন সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু বেশিরভাগই দিয়েছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তাহলে যদি ৬ লাখ টাকার ডকুমেন্ট বা প্রমাণ না থাকে তা হলে ওই ৭৮ হাজার টাকার বাইরে বাকি টাকা কর্মীরা কীভাবে পাবে।
এ কেলেংকারি সম্পর্কে সর্বশেষ জানা গেছে- বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর রিক্রুটিং এজেন্সিদের সংগঠন বায়রার অধিকাংশ নেতাও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের আর মাঠে দেখা যায়নি । এ অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক জনশক্তি ব্যবসায়ী। মামলার বাকি আসামিরা সবাই জনশক্তি ব্যবসায়ী এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলায় অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্য। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার প্রবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট মাফিয়া চক্র গড়ে তোলে। তারা হাজার হাজার শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশ ও বিদেশে গড়ে তুলেছে। এ ঘটনায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে রমরমা ব্যবসার অভিযোগে এ অনুসন্ধান শুর করা হয়েছে উল্লেখ করে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার-নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ৭৯ হাজার টাকা। কিন্তু মালয়েশিয়া যেতে গড়ে একজন বাংলাদেশী কর্মী খরচ করেছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। দেড় বছরে সাড়ে ৪ লাখের মতো লোক পাঠিয়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে এ খাতে। সরকার নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে ‘চক্র ফি’ নেওয়া হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গত ২৮ আগস্ট জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জনশক্তি ব্যবসায়ীরা আরও সময় চান অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য। তাদের অর্থ ফেরত দিতে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যেই এজেন্সির কাছে পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তারাই টাকা ফেরত দেবে।
কিন্তু তারপর আর কোনো অগ্রগতি নেই। বরং গত সপ্তাহে বায়রা অফিসের দখল পাল্টা নিতে ইস্কাটনের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এনিয়ে নতুন সভাপতির দায়িত্বপালনকারী হিসেবে রিয়াজুল ইসলাম অভিযোগ আনেন, বিগত সরকারের আমলের টপ টেন সিন্ডিকেটের সবাই দায়ী মালয়েশিয়ার কেলেংকারির জন্য। তাদেরকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আইনের আওতায় এনে টাকা আদায় করতে হবে। এ ছাড়া এ টাকা উদ্ধার করা যাবে না।