ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কূটনৈতিক রিপোর্র্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না। প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় তার অনিয়মিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারডিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারডিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে উপদেষ্টা ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান।  তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সে চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সম্প্রতি জীবন ও সম্পদের ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ঢাকাভিত্তিক বিদেশী মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওংয়ের বাংলাদেশে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, অস্ট্রেলিয়া সব বাংলাদেশীদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
উপদেষ্টা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ক্রমবর্ধমান আয়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজ করার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না।  প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় তার অনিয়মিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সংকটের কারণে উদ্ভূত অঞ্চলে নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকি তুলে ধরেন এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জোর দেন যা এ দীর্ঘায়িত সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।

×