সমন্বয়ক সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ৩৫ কিংবা ৬৫, কোনোটাই যৌক্তিক না ৷ ৩২ এবং ৬০ নিয়ে ভাবা যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লিখেছেন সারজিস আলম।সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি অংশ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক দফা আশ্বাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দাবি আদায়ে আবারও রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা।
ঠিক একই সময়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’।
এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতাদেরও তাদের দাবি পক্ষে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বয়সসীমা ৩৫ কিংবা অবসরের বয়স ৬৫ করার পক্ষে নন বলে মত দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেন। তার চিঠিটি বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের চাহিদাভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দাবি জানাচ্ছে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিটি জনপ্রশাসনে পাঠিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানোর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। একপক্ষ এর পক্ষে, অন্যপক্ষ এর বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
তাসমিম