ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

আমরা যেন নবীর আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই: সহিদ উদ্দিন মাইজভান্ডারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২৩:১৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমরা যেন নবীর আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই: সহিদ উদ্দিন মাইজভান্ডারী

বিভিন্ন মাজারে হামলা চালিয়ে একশ্রেণীর মানুষ দেশে এবং দেশের বাইরে জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছে উল্লেখ করে "আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহীদিয়া মাইজভান্ডারীয়া" এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেছেন, জঙ্গিবাদ দিয়ে ইসলাম কায়েম হয়নি। ইসলাম কায়েম হয়েছে ভালোবাসার মাধ্যমে, প্রেমের মাধ্যমে,  ভ্রাতৃত্ববন্ধনের মাধ্যমে। এটি নবীর আদর্শ, নবীর সাহাবাদের আদর্শ। আমরা যেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এবং তার সাহাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই। 

সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় মেয়র সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে  "আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহীদিয়া মাইজভান্ডারীয়া" এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনার ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী আরও বলেন, বিভিন্ন মাজারে যদিও অপ্রতিগ্রস্ত পাগল ফকির থাকে, সমাজের এই বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার, পরিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আর যারা মাজার ভাঙচুর করছে আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত নসিব করেন।
তিনি বলেন, একশ্রেণীর মানুষ মাজারে হামলা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, বহির্বিশ্ব এবং দেশের মধ্যে তারা জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। তাদেরকে বলব, আপনাদের যদি মাজারে আপত্তি থাকে মেহেরবানী করে আল্লাহর নবী যেভাবে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছেন, আল্লাহর ওলীরা যেভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে হেদায়েতের বানী নিয়ে গিয়েছেন সৌহার্দ্য  সম্প্রীতি ভালোবাসার মাধ্যমে, সেভাবে আপনারা ধর্মের দাওয়াত নিয়ে তাদের কাছে যান, হেদায়েতের বার্তা নিয়ে যান, কিন্তু হিংসা হানাহানি নয়।

 
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর মিলাদের দাওয়াত স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, এমন একজন নবী আসবে তোমাদের নিকট, ওই নবীর ঊপর সকলকে ঈমান আনতে হবে এবং এই রসুল তোমাদের সকল নবী রাসূলদের সত্যায়নকারী হবেন। তার আগমনের এই দিনে আল্লাহর রহমতের গুজারি করতে বলেছেন। তাই আল্লাহর  শুকুর গুজারির জন্য আমরা মিলাদুন্নবী কায়েম করেছি।
সেমিনার ও আলোচনার পর সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে  জশনে জুলুশ (র‍্যালি) অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর জোহরের নামাজ আদায় শেষে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পবিত্র মিলাদুন্নবীর আনুষ্ঠানিকতা।

অনুষ্ঠানে দেশবরেন্য হাক্কানী ওলামায়ে কেরামগন, রাজনীতিবিদ, আশেকান ও ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বারাত

×