ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

পাওনা ৮০ কোটি ডলার

ড. ইউনূসকে গৌতম আদানির চিঠি 

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৮:২৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. ইউনূসকে গৌতম আদানির চিঠি 

 ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গৌতম আদানি 

সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতের আদানি গ্রুপের ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ এই অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বাবদ আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়। এই পাওনার জন্যই প্রধান উপদেষ্টার কাছে গৌতম আদানি চিঠি লিখেছেন বলে জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে গৌতম আদানি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, সেই সময়ে ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।’

গৌতম আদানি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার জন্যও তিনি অনুরোধ করছেন। এর আগে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে বাংলাদেশে আট থেকে নয় মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানির ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে। ঝাড়খন্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি শিল্পগোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। একটি নির্দিষ্ট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

গৌতম আদানি বলেন, একটি আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে আদানি পাওয়ার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি।’

ভারতীয় এই বিলিয়নিয়ার আরও বলেন, তার কোম্পানি রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মতো জনপ্রিয় ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অংশীজনের কাছ থেকে তার কোম্পানি যে সমর্থন ও সহযোগিতা পান, তিনি তার প্রশংসা করেন।

শহিদ

×