ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

ইডটকো বাংলাদেশ ও বিমান বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা

প্রকাশিত: ০২:১৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইডটকো বাংলাদেশ ও বিমান বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা

ইডটকো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে বন্যাক্রান্তদের ত্রাণ সহায়তা

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বন্যাক্রান্ত মানুষদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। কোম্পানিটি ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ সিএসআর প্রোগ্রামের আওতায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর প্রায় ২,৫০০ মানুষের মধ্যে খাদ্য, ওষুধ ও স্বাস্থ্যবিধি পণ্যের মতো প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গতকাল, ইডটকো সিএসআর টিম বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করে।

বাংলাদেশে প্রায় ১৮,০০০ টাওয়ার পরিচালনার মাধ্যমে ইডটকো দেশজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে নেটওয়ার্ক যোগাযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে। তীব্র বন্যা পরিস্থিতির কারণে কোম্পানির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়া সত্ত্বেও, ইডটকো এর নিবেদিতপ্রাণ অপারেশন্স টিম নেটওয়ার্ক সংযোগ পুনরুদ্ধারে এবং এই সংকটময় সময়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চ্যানেলগুলো চালু রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে। কোম্পানিটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যুক্ত টিমগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে ইডটকো নিজস্ব টাওয়ার সাইটগুলো থেকে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের অধিবাসীগণের জন্য বিনামূল্যে মোবাইল চার্জিং এর ব্যবস্থা করেছে।

ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক বলেন, “মানুষের সুরক্ষাকে আমরা সবসময়ই অগ্রাধিকার দিই এবং প্রয়োজনের সময় তাদের সহায়তা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জীবন বাঁচানো, ক্ষতি কমানো এবং পুনর্বাসনে সহায়তা করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। এই বন্যা সংকটের সময় টাওয়ার সাইটগুলো সচল রাখতে আমাদের টিম নিরলসভাবে কাজ করছে, বিশেষত সেইসব দূরবর্তী এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে যেখানে অতিরিক্ত বন্যার কারণে নেটওয়ার্ক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকায় সকলের মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে আমরা বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করছি। দিনরাত মাঠ পর্যায়ে এবং ওয়ার রুমে থেকে আমাদের টিম বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব সাইটগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।”

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এই জাতীয় সংকট মোকাবিলায় গ্রাহক, বিক্রেতা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে একতাবদ্ধ হওয়ার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ ও সহযোগিতা পাওয়া গেছে।”

টেলিকম খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আইজ্যাক বলেন, “পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, টেলিকম খাতে যুক্ত সকলের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে একসাথে কাজ করা জরুরি। প্রস্তুতি, সম্পদ বণ্টন এবং কার্যকর সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য এ ধরনের সহযোগিতা অপরিহার্য। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায়, দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা অতীব প্রয়োজন, যাতে করে দুর্যোগপূর্ববর্তী পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়,  দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা যায় এবং দুর্যোগকালীন ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।”

যাত্রার শুরু থেকেই ইডটকো বাংলাদেশ ‘টাওয়ার টু পাওয়ার’, ‘টাওয়ার টু ওয়াটার’ এবং ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ সামাজিক দায়বদ্ধতার উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে ৬৪,০০০ এরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে যা সমাজের প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন ও সহায়তায় তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।

বারাত

×