ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা

কোন সিন্ডিকেট এখন থেকে আর পৃষ্ঠপোষকতা পাবে না

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ 

প্রকাশিত: ২২:০৭, ৩০ আগস্ট ২০২৪

কোন সিন্ডিকেট এখন থেকে আর পৃষ্ঠপোষকতা পাবে না

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কোন সিন্ডিকেট এখন থেকে আর পৃষ্ঠপোষকতা পাবে না। যারা নতুন এবং তরুণ সৎভাবে ব্যবসা করতে চান, তাদের উন্মুক্ত টেন্ডারে অংশ নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর প্রাক্কলন থেকে ১৮৩৫ কোটি টাকা ব্যয় কম হয়েছে, ব্যয় সংকোচন নীতি মেনে চললে আরও কম খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেতো। 

দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভাঙা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি রোধ করতে হবে ও সরকারি-বেসরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সকল কাজের গুণগত মান বজায় রেখে ব্যয় সংকোচনের দিকে মনোযোগী হওয়া। এই নির্দলীয় সরকার যে কোন ধরনের জনকল্যাণমূলক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছ পা হবে না। 

শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতু পরিদর্শন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ এর সভা কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, সেতুর এখন ম্যান্টেনেন্স কষ্ট বেশি। এছাড়া সরকারের ঋণ পরিশেধেরও ব্যাপার  রয়েছে। ঋণ পরিশোধ এবং পরিচালনা ব্যয় কমে আসার পর সেতুর টোল হ্রাস করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। 

জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আন্দোলনে আহতদের আরোগ্য কামনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা আরও বলেন, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে নাগরিক হিসেবে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সবক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ছাত্রদের এ রক্তের ঋণ আমাদের পরিশোধ করতে হবে। এজন্য মানুষ যাতে যথাযথ সেবা পায়, দেশের যাতে প্রকৃত উন্নয়ন হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এখন থেকে গ্রাহক সেবার উপর ভিত্তি করে কাজের মূল্যায়ন হবে। 

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার তাঁর মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশ-বিদেশে আলোচিত পদ্মা সেতু পরিদর্শনে আসেন। তিনি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে নামেন। সেতুর মনিটরিং কার্যক্রমও দেখে সেতু অতিক্রম করে তিনি জাজিরা প্রান্তে যান। 

এই সময় উপদেষ্টার সঙ্গে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নরুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।
 

এসআর

×