ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

ফারাক্কার গেট খোলায় শঙ্কার কোনো কারণ নেই  

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২৭ আগস্ট ২০২৪

ফারাক্কার গেট খোলায় শঙ্কার কোনো কারণ নেই  

ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছেন, ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা নদীর বাংলাদেশ অংশে ৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এই বৃদ্ধিতে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।

ভারতের বিহারের গঙ্গায় পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়া হয়ে গতকাল সোমবার। 

ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা স্থানে শঙ্কা ছড়ায়। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকালই জানায়, এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। গতকাল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উজানে গঙ্গা নদীর পানি সমতল ভারতের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে স্থির পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশেও গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার গড়ে দেড় থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে বাংলাদেশে স্থিতিশীলভাবে বিপদমানের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ মুহূর্তে গঙ্গা নদী অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

আজ সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্টে গঙ্গার পানি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এটা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক। আগামী কয়েক দিনেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা দেখি না।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ম ইনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ায় আমাদের এখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। এটা প্রতিবারই করা হয়।’

সব কটি গেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকবে জানিয়ে ইনামুল হক বলেন, এরপর চার থেকে পাঁচটি গেট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তাসমিম

×