বঙ্গভবন। ফাইল ফটো
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার সংখ্যা আরও বাড়ছে। নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন আরও পাঁচ উপদেষ্টা। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়াবে ২২ জনে। শুক্রবার তাদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা থেকে জানা যায়, অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কাল শুক্রবার নতুন করে আরও ৫ জন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময়ে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
একই দিন রাষ্ট্রপতির দৈনিক কর্মসূচি থেকে জানা যায়, আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিবেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক লে. কর্ণেল (অব:) জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী শপথ নিতে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে।
এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন অন্তবর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
৯ অগাস্ট ১৩ উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হয়। শপথ নেওয়ার পর বাকি তিন উপদেষ্টাও দপ্তর পান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে এখন আছে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তাতেই ধারণা করা যাচ্ছিল, উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়তে পারে।
কার হাতে কোন দপ্তর:
মুহাম্মদ ইউনূস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপপ্রাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সালেহ উদ্দিন আহমেদ - অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আফিস নজরুল- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খান- শিল্প মন্ত্রণালয়, এ এফ হাসান আরিফ -স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শারমিন এস মুরশিদ-সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এম সাখাওয়াত হোসেন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আ ফ ম খালিদ হোসেন-ধর্ম মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার-মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সুপ্রদীপ চাকমা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ফারুক ই আজম- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মো. নাহিদ ইসলাম- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর বিলুপ্ত করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।
স্বপ্না