ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস

ফজলুর রহমান

প্রকাশিত: ০০:০৬, ৬ আগস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস

রাজধানীর শাহবাগে সোমবার ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে রাজধানীতে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমেছে লাখো মানুষ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের ঢল নামে। তারা বিভিন্ন স্লেøাগান দিতে দিতে উল্লাসে ফেটে পড়েন। আনন্দ মিছিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগও করে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা।

হেঁটে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি দিয়ে ছুটে যান গণভবন সম্মুখে। গণভবনে প্রবেশ করে যে যার মতো করে সবকিছু লুটপাট করে, বিক্ষোভ করে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের খবরের পর পর রাজধানীজুড়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যদিও এর আগে সকাল থেকে রাজধানীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। কার্ফু ভেঙে কয়েকটি জায়গায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই হতাহত হন। হতাহতের ঘটনা চলাকালেই বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আন্দোলনকারীরা শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েন্স ল্যাব মোড়, বাড্ডা ও গণভবনের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। ৩টার পরে রাজধানীর রাস্তা হয়ে যায় লোকে লোকারণ্য। এত জনতার সমাবেশ ইতোপূর্বে কখনো ঘটেনি। 
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাকে সাড়া দিয়ে সকালে কার্ফু ভেঙে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দখলে নেয় ছাত্র-জনতা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জনস্রোত এসে মেশে শাহবাগে। এ সময় ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয় শাহবাগ। জমায়েত হয় লাখ লাখ মানুষ।

সকাল ১০টার দিকে দিকে ৬-৭টি সাঁজোয়া যানসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয় একদল পুলিশ। এ সময় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়া লোকজনকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না দিয়েই গুলি চালানো হয়। পাশাপাশি টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষার্থীরা চাঁনখারপুলের দিকে আশ্রয় নেয়। কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও পলাশীর দিকে চলে যায়। গুলিতে তখন ৪৪ ছাত্র-জনতা আহত হন। তাদের নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যালে। 

বেলা ১১টার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে কার্ফু ভেঙে সংহতি সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। এ সময় তাদের সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। কেড়ে নেওয়া হয় তাদের ব্যানার। তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ দিলে তাদের নিয়ে ঢাবির ভিসি চত্বরের দিকে চলে যান শিক্ষকরা।

সকাল থেকেই শাহবাগে অবস্থান নেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শাহবাগে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। পরে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। তবে দুপুরের পর থেকে পাল্টে যায় শাহবাগের চিত্র। দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগের ব্যারিকেড খুলে দেয় সেনাবাহিনী। এ সময় একদল শিক্ষার্থী শাহবাগ চত্বরে এসে বিক্ষোভ শুরু করে।

এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেয়। দুপুর ২টার দিকে বিশাল বহর নিয়ে একদল শিক্ষার্থী ঢাবির ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসি দিয়ে শাহবাগে এসে যোগ দেয়। তাদের প্রবেশের জন্য রাস্তা খোলে দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে মতিঝিল, পল্টন, ধানমন্ডি, মিরপুর, মালিবাগ, শনির আখড়া, আজিমপুর ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগ অভিমুখে আসতে থাকে।

তাদের অনেকের হাতে পতাকা, কারও হাতে লাঠি দেখা গেছে। কাউকে আবার ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয়োল্লাস করতে দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থীকে সেনা সদস্যদের সঙ্গে হাত মেলাতে, আলিঙ্গন করতেও দেখা গেছে।  অনেককে ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী সরকার, দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। 
একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর সায়েন্স ল্যাব, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, উত্তরাসহ বেশ কিছু এলাকায়। সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ কার্ফু ভেঙে জড়ো হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর কাজলা, শনির আখড়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে একে একে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন সহকর্মী, স্বজনরা।

এমন সংঘর্ষ আর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই বিকেল ৩টার সংবাদে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। তারা পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল বের করেন। কেউ মাইলকে মাইল হেঁটে মিছিল নিয়ে ছুটে যান গণভবন সম্মুখে। কেউ বা আসেন টিএসসি, শাহবাগ চত্বরে। দৈনিক বাংলা হয়ে পল্টন, কাকরাইল সিগন্যাল মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ টিএসসিতে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন লাখো মানুষ।

বাড্ডা-রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে হাতিরঝিল হয়ে আবার আবুল হোটেল প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠে লাখো মানুষ হেঁটে ছুটে চলেন বাংলামোটরের দিকে। সোয়া ৩টা থেকে ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লাখো মানুষ হাঁটতে হাঁটতে স্লোগান দিতে দিতে ছুটে চলেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে মগবাজার ফ্লাইওভার লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাইকযোগে, কেউ অটোরিক্সায় চড়ে ছুটে চলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অনেকে। ফ্লাইওভারের দু’পাশের বহুতল আবাসিক ভবন থেকে হাত নাড়িয়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংহতি জানান নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধসহ সকলে।   
কয়েক লাখ মানুষের এই মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকেই গণভবনে গিয়ে অবস্থান নেন। আবার অনেকে শাহবাগ চত্বর, টিএসসি, শহীদ মিনার, ভিসি চত্বর, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট এলাকা, বাংলামোটর এলাকায় লোক জমায়েত হন।

এর কিছুক্ষণ আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাবি ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর চালায় একদল শিক্ষার্থী। তবে, ঢাবি শিক্ষার্থীদের বাধার কারণে বাসভবনে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ সময় টিএসসি থেকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি গাড়ি নীলক্ষেতের দিকে যেতে চাইলে পথে আটকিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধর করে আন্দোলনকারীরা। 

সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে লাখো জনতার কারণে শাহবাগ ও ঢাবির টিএসসি এলাকায় দাঁড়ানোর ঠাঁই ছিল না। কারও হাতে পতাকা, কারও হাতে বাঁশি। উল্লাসে অনেক শিক্ষার্থী ঢোল নিয়ে আসছেন। বাঁশি ও ঢোলের তালে তালে অনেক শিক্ষার্থীকে নাচতে দেখা গেছে। অসুস্থ নারীরা হুইল চেয়ারে বেরিয়ে এসেছেন। তৃষ্ণার্ত আন্দোলনকারীদের পানি দিয়ে সহায়তা করছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এ সফলতা দেখাতে স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে এসেছে অনেক অভিভাবক। এই এলাকার তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন জায়গায় রিক্সায় যেতে দেখা গেছে। তাদের হাতে ও মাথায় পতাকা।

শাহবাগ চত্বরে মেহেদি করিম নামে এক আন্দোলকারী বলেন, আমরা সফল, আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার মতো কোনো সরকার এদেশে ক্ষমতায় থাকুক আমরা চাইনি। আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই। হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। 
কল্যাণপুরের বাসিন্দা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’ 
বিকেল ৫টার দিকে ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন সাধারণ জনতা। এ সময় তাদের প্রধান বিচারপতির ব্যবহৃত আসবাবপত্র যে যার মতো নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়। 
শ্যামলী থেকে ধানমন্ডি ২৭ এ লাখো লোকের সমাগম দেখা গেছে। মোটরসাইকেল হর্ন বাজিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। 
আসাদ এভিনিউ সড়কে শামসুজ্জামান নামের একজন বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে মানুষ কোনো কথা বলতে পারে না। আজকে মন হাল্কা হচ্ছে। জাতির এই আনন্দ মুহূর্তে ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগ ভোলা যাবে না। 
বিভিন্ন অলিতে গলিতে ছাত্র-জনতার মিছিলের পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেও মিছিল করেন। সিএনজি, অটোরিক্সা, বাইক উঠে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এসব বাহনে চড়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে যেতে মিছিল করেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। 
বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় প্রবেশের জন্য আসতে থাকেন। অনেকেই ঢাকায় প্রবেশ করেন শাহবাগে যান। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৃদ্ধ, শিশু ছাড়াও বিপুলসংখ্যক নারীদের এ মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান করতে দেখা যায়। 
সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনীকে বহন করা দুটি জিপ গাড়ি এ মহাসড়ক ধরে যাত্রাবাড়ীর দিকে যেতে দেখা যায়। মানুষের ভিড়ে জিপ দুটি এগোতে পারছিল না। দু’পাশে থাকা মানুষ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। রাস্তায় থাকা মানুষ সেনাসদস্যদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। প্রচ- ভিড়ের কারণে অনেকেই হাত মেলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসের সাড়াও দিচ্ছিলেন সেনাসদস্যরা।

কেউ কেউ সেনাসদস্যদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। দু’পাশের জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে সমর্থন জানান সেনাসদস্যরাও।  গণভবনের পর জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছে আন্দোলনকারীরা ছাত্র-জনতা। বিকেলে ছাত্র-জনতা সেখানে যে যেভাবে পারছে সংসদ ভবনে প্রবেশ করে। সেখানে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-জনতা রয়েছে। কেউ হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করেছে। উল্লাস করছে সবাই।

খেজুর বাগানের মাঠসহ পুরো এলাকায় অবস্থান করছে ছাত্র-জনতা।
সরেজমিন দেখা যায়, গণভবনের সভাকক্ষে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে উদ্যম নৃত্যে মেতেছেন বিক্ষোভকারী জনতা। আরেকদিকে ঘড়ি, রাউটার, কাগজ, কম্পিউটার, চেয়ার, সোফা, এসি, ফ্রিজ, দেয়ালিকা থেকে শুরু করে সবকিছু নিতে বের হচ্ছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তবে, গণভবনের ফটকে কিছু বিক্ষোভকারী এসব মালামাল একত্রিত করছেন। জনসাধারণকে নিতে বাধা দিচ্ছিলেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, এ সম্পদ আমাদের। আমরাই নিয়ে যাচ্ছি। আজ আপামর জনসাধারণের বিজয় দিবস। 
এরপর বিজয় সরণিতে আনন্দ মিছিল করছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের সঙ্গে এ মিছিলে যোগ দিয়েছেন রিক্সাচালক, চিকিৎসক ও শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সন্ধ্যার পরও গণভবন এলাকায় মানুষের ঢল ছিল। বিক্ষোভকারীদের অনেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে বিশ্রাম নেন। সেখানে ফটোসেশন করেন। বাড়িতে স্বজনদের কল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও ঢাকার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানান। উল্লাস প্রকাশ করেন। সংসদ ভবন এলাকায়ও গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ঢল দেখা যায়। সেখানে মিছিল করেন সাধারণ মানুষ। এভাবে পতনের পেছনে সরকারের কি কি ভুল ছিল, আবার কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে আওয়ামী লীগ সরকার, এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছেন, স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

×