ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী

যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জনগণই তাদের বিচার করবে

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২৬ জুলাই ২০২৪

যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জনগণই তাদের বিচার করবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যে যেখানে আছে তাদের খুঁজে বের করুন, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন। আমি দেশবাসীর কাছে সেই আহ্বান জানাই। বিএনপি-জামায়াত শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই দেশব্যাপী তান্ড চালিয়েছে শুক্রবার।

গত ১৮ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনকে পুঁজি করে রামপুরাস্থ বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে (বিটিভি) দুর্বৃত্তরা যে তান্ড চালিয়েছে শুক্রবার সে ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশবাসীকে বলব, ঢাকাবাসীকে বলব- যাদের জন্য আজ আপনাদের এই দুর্ভোগ, যারা ধ্বংস করল, যাদের জন্য আজ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আমি তাদের বিচারের ভার এদেশের জনগণের ওপরই দিয়ে যাচ্ছি। দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই, আমি তাদের সহযোগিতা চাই।

কেউ মিথ্যাচার চালিয়ে যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কাউকে যেন বিভ্রান্ত করতে না পারে। সবাই আসল সত্যটা জানুক। যারা এদেশের মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত দিয়েছে, রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে; তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে। কারণ দেশের জনগণই একমাত্র শক্তি।

শেখ হাসিনা বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে এখন দেশ ধ্বংসে নেমেছে, সঙ্গে জামায়াত-শিবির যারা সবসময়ই স্বাধীনতাবিরোধী। দেশের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা নিরাপত্তা বিধানে তাঁর সরকার কার্ফু দিতে এবং সেনাবাহিনী ডাকতে বাধ্য হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আজকে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে বিটিভি ভবনে প্রবেশ করেন এবং বিএনপি-জামায়াত চক্রের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেন। বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ অসন্তুষ্ট দেখা গেছে। বিটিভি ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বিটিভি কর্মকর্তারা তাদের চোখের জল ধরে রাখার চেষ্টা করার সময় পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলে প্রধানমন্ত্রীকেও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়। সময় বিটিভি সদর দপ্তর বিটিভি ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

বিটিভি হিসাবে তান্ডবলীলায় বিটিভি বিভিন্ন অবকাঠামো, সম্প্রচার সরঞ্জাম, নকশা বিভাগ, অফিস ভবন এবং কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলায় ১৯৬৪ সাল থেকে সংরক্ষিত অমূল্য প্রাচীন জিনিস দিয়ে সজ্জিত টেলিভিশন জাদুঘর এবং মুজিব কর্নার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, প্রায় ৪০টি কম্পিউটার, একশটি টেলিভিশন সেট এবং কম্পিউটার ল্যাবের আসবাবপত্র, প্রশিক্ষণ কক্ষ প্রিভিউ রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি তলায় আগুন দিয়ে পোড়ানো এবং যন্ত্রাংশ লুটপাট, একটি সম্প্রচার ওবি ভ্যান, ১৭টি  গাড়ি ২১টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করাসহ সম্পূর্ণ স্থাপনাটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।

৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকারে এসে এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে তাঁর সরকার বিটিভির প্রভূত উন্নয়ন আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু আজকে এত বছর পর এসে দেখা গেল সেই৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে নারকীয় তান্ড, তারই যেন একটা বীভৎস রূপ বাংলার মানুষ দেখছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি- জামায়াতের তা-বলীলা ধ্বংসযজ্ঞে ৩৮শ যানবাহন, ২৮টি ট্রেন ট্রেনের বগি, লঞ্চ সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো। তবে, এবারের আগুন লাগানোর ধরন আগেরগুলোর তুলনায় আলাদা। তারা এবার আগুন লাগাতে গান পাউডার ব্যবহার করেছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিন্তু টেলিভিশনের ওপর হাত দেয়নি বা কেউই কখনো দেয়নি। কিন্তু আজকে এই টেলিভিশন সেন্টারকে যারা এইভাবে পোড়াল, একটা কিছু নেই যে রক্ষা পেয়েছে। তাহলে এরা কারা? এরা কি এদেশেরই মানুষ? এদের কি দেশেই জন্ম? একটা দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই যেন তাদের এই আক্রমণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল যেটা ছিল সারাবিশে^ প্রতিটি বাঙালির কাছে একটা সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। যার মাধ্যমে মানুষ অল্প সময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারত। আজকে সেটা বন্ধ। আবার সেই ট্রাফিক জ্যাম, আবার সেই পূর্বের অবস্থায় মানুষকে ফেলে দিল। আর এই টেলিভিশনটা, পর্যন্ত তাদের ধ্বংসযজ্ঞ যেভাবে চলেছে যে কয়টা জিনিস মানুষের সেবা করে মানুষের জন্য কাজ করে সেই জায়গাগুলোতেই আঘাত।

তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সেখানেও আগুন দিয়ে পোড়াল। গাড়িগুলো, এমনকি জাপান থেকে আনা অত্যাধুনিক সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো পুড়িয়েছে, পানি শোধনাগারে হামলা করতে গেছে, পয়ঃশোধনাগারে হামলা-এটা কি হচ্ছে? কি তাদের মানসিকতা? তিনি বলেন, এই দেশটা আমরা অনেক কষ্ট করে স্বাধীন করেছি। আর আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সেই মর্যাদাকে ধ্বংস করার জন্যই এই ধ্বংসযজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ আর আগুনে পোড়া অবস্থা দেখে স্মৃতি রোমন্থনে বলেন, আজকে অতীতের কথা মনে পড়ে, আমি কতবার এখানে এসেছি। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে এখানে ভাষণ দিতে এসেছি। নানা অনুষ্ঠানে এসেছি। আজকে যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম এরপর এটা আবার কবে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা যাবে, জানি না। তিনি বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেক চেষ্টা করেছেন। এই সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পার পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। তবুও আপনারা এই জাতীয় সম্পদটাকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী সময় অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এগুলো দেখে আমি আসলে আর কথা বলতে পারছি না। এক একটা জিনিস যখন গড়ে তোলা হয়, তখন অনেক কষ্ট করেই করতে হয়। তিনি বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করি। সেটা তো আমার দেশের মানুষেরই জন্য। একটা জিনিস এমনভাবে তৈরি করার চেষ্টা করি যাতে এগুলো শুধু দেশে নয় বিদেশীদের কাছেও দৃষ্টিনন্দন হয়। এগুলো আমরা দেশের যে উন্নতি করছি তার সিম্বল (প্রতীক) হিসেবে ব্যবহার হবে। সে জায়গাগুলো একে একে ধ্বংস করা হচ্ছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে। এতদিনের এত কষ্টের ফসল সব শেষ করে দিতে চাচ্ছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কষ্টের। দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই, আমি তাদের সহযোগিতা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত বিশেষ করে শিবির কোটাবিরোধী আন্দোলকারীদের ওপর নির্ভর করে এই ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। তিনি সারাদেশে তা-বলীলার -চিত্র তুলে ধরে বলেন, সেখানে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যকে হাসপাতাল থেকে টেনে বের করে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, ্যাবের গাড়ির ভেতরে ্যাব সদস্যকে হত্যা, সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ হত্যার স্বীকার হয়েছে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, গাজীপুরে এক কর্মীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। বাড়ি-বাড়ি খুঁজে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যায় যাত্রাবাড়ীতে তার গাড়ি বহরের এক চালকও বাদ যায়নি। এইভাবে একদিকে হত্যাকা- একদিকে জ্বালাও-পোড়াও। এরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? দেশের স্বাধীনতা বা উন্নয়নে বিশ্বাসী? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের কোটা বাতিলের জারি করা পরিপত্র বাতিলে হাইকোর্টের রায় যেখানে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল এবং সরকারের আপিলের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল, সেখানে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কি ছিল সে প্রশ্ন তিনি শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ধৈর্য ধরে ধরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। বারবার বলেছি, মন্ত্রীরা পর্যন্ত দিনের পর দিন বৈঠক করেছে। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম ওই মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতিই তাদের যেন বেশি ক্ষোভ। আমার একটা কথা নিয়ে কতদিন প্রতিবাদ করল, কী কথা বলেছিলাম? আমার কথাটাকে বিকৃত করা হয়েছিল। তাদের স্লোগান কী? ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। তোমার বাবা, আমার বাবা-রাজাকার রাজাকার।তার মানে তারা নিজেদেরই রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিল। আমি তো তাদের (শিক্ষার্থী) রাজাকার বলিনি, তারা নিজেরাই স্লোগান দিয়ে নিজেদেরকে রাজাকার হিসেবে পরিচিত করল সকলের সামনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারদিকে যখন আগুন এই টেলিভিশন ভবনে যখন আগুন লাগানো হলো, ফায়ার ব্রিগেড এসেছে তাদের ঢুকতে দেবে না। তাদের গাড়িতেও আগুন দেওয়া হলো, পুলিশ, ্যাব কাউকে ঢুকতে দেবে না, আগুন দাউ দাউ করে ¦লছে। তখন তিনি হেলিকপ্টারে করে পানি ছড়ানোর ব্যবস্থা নিলেন। অনেক ভবনে আগুন দেওয়ায় অনেকে ছাদে গিয়ে হাহাকার করায় হেলিকপ্টার দিয়েই তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে টেলিভিশন ভবনে এসে যে ধ্বংসযজ্ঞ আমি দেখলাম এটা কারও পক্ষেই সহ্য করার নয়। আজকে বিশে^ বাংলাদেশের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হলো। যদিও যারা আগুন দিয়েছে তাদের কিছু আসে যায় না, কারণ লন্ডন থেকে নির্দেশ দেয় যেখানে যেখানে বাঙালি আছে তাদের আন্দোলন করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, লন্ডনে আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করা হলো। সেখানে পুলিশ এসে বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) তারা মিছিল করতে গেছে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-, ১৬ জনকে ১০ বছরের কারাদ- আর বাকিদের আর সেখানে রাখা হবে না দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারা যে রুটি-রুজির পথ হারাল তাই নয়, যে বাঙালিরা সেখানে থাকে তাদের মুখটা আজকে কোথায় থাকে। কারণ ওই দেশে আইন আছে কেউ মিছিল করতে পারে না কিন্তু তাদের উস্কে দেওয়া হয়েছিল লন্ডন থেকেই।

তিনি বলেন, সেখানে আর বাংলাদেশীদের নেওয়া হবে না জানতে পেরে তিনি তৎক্ষণাৎ সেখানকার দূতাবাস এবং সে দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। সৌদি আরবও কঠিন আইন প্রয়োগকারী দেশ। সেখানেও ২০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাহলে এই গ্রেপ্তার হওয়া লোকজন আমাদের লাখ লাখ কর্মীর ভবিষ্যৎটা কি? সে প্রশ্ন উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানেও তিনি ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাদের আইন তো তাদের নিজস্ব গতিতেই চলবে। এখনো বিভিন্ন দেশে ফোন করে আন্দোলনের জন্য উস্কে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সেখানকার বাংলাদেশীদের রুটি-রোজগারও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

×