ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

পোশাক কারখানা দোকানপাট শপিংমল চালু

কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে

এম শাহজাহান

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ২৪ জুলাই ২০২৪

কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে

কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে দেশের

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির অবসান হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতের সব কারখানা চালু হওয়ায় ঘুরছে উৎপাদনের চাকা। সারাদেশের দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল চালু করা হয়েছে। চাহিদামতো পণ্য কিনতে ক্রেতারা ছুটে আসছেন মার্কেটে। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন শুরু হওয়ায় নগদ টাকার সরবরাহ বেড়েছে আর্থিক খাতে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতে ঋণপত্র (এলসি) খুলছেন ব্যবসায়ীরা।

নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে দেশের দুই প্রধান পাইকারি বাজার ঢাকার মৌলভী বাজার এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। লেনদেন শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় সব ধরনের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে সারাদেশে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেন করতে পারছেন সাধারণ গ্রাহক। দেশের বিভিন্ন বন্দরের কাস্টমস সার্ভার সচল হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। অর্র্থাৎ টানা পাঁচদিন পর সব ধরনের নাগরিক সেবা চালু হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও সহিংসতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশে টেলিভিশন (বিটিভি), জনপ্রিয় বাহন মেট্রোরেল, ডেটা সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো বড় বড় সরকারি অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব-নিকাশ কষছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণকে স্বস্তি দিতে টানা চার দিনের কার্ফু শিথিল এবং সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ায় বুধবার থেকে সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে ফের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। শুরু হয়েছে সব ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। নিত্যপণ্যের বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্থবির হয়ে পড়ে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য আবার চালু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পোশাক রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এসএম মান্নান কচি জনকণ্ঠকে বলেন, শতভাগ গার্মেন্টস কারখানায় আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে শ্রমিক-ভাইবোনরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। 
ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েক হাজার পোশাক কারখানা চালু হওয়ায় এখাতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ক্রয়াদেশ নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের অফিসিয়াল পরিচয়পত্রই তাদের চলমান কার্ফু পাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সারাদেশের সব ধরনের পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। তিনি বলেন, কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে শিল্পপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আরও তৎপর হতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পোশাক খাতের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী আরও ৪০টি খাত খুলে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সবখানেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে শিল্পের উৎপাদন বাড়াচ্ছেন। প্লাস্টিক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে প্লাস্টিক খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, কার্ফু শিথিল হওয়ায় উদ্যোক্তারা শিল্পখাত খুলে দিয়েছেন। এতে করে কারখানায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়া কিংবা কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে শিল্পের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ভোগ্যপণ্যের আমদানিককারক, পাইকার এবং উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে পাইকারি বাজারগুলোতে চাল, ডাল, আটা, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার মৌলভী বাজার এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পুরোদমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পোর্ট থেকে খালাস হয়ে আমদানিকৃত ভোগ্য ও নিত্যপণ্য এসব বাজারে আসতে শুরু করেছে।  এর পর পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাত হয়ে সেগুলো যাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাপ্লাই চেইন আবার পুরোপুরি চালু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মৌলভী বাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ভুট্রো জনকণ্ঠকে বলেন, চলমান আন্দোলন পরবর্তী কার্ফু শিথিল হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বেড়েছে। তিনি বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া মিলারদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমদানিতে-রপ্তানিতে এলসি চালু করা হচ্ছে। ফলে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য আসার পথ আরও সুগম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জনকণ্ঠকে বলেন, টানা পাঁচদিন পর অর্থনীতি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 
এদিকে, পাঁচদিন পর দেশের মার্কেট, বিপণিবিতান ও শর্পিমলগুলো চালু হওয়ার কারণে ক্রেতারা ছুটে আসছেন কেনাকাটার জন্য। গত একসপ্তাহ যাবৎ নগরবাসী তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারেনি। এতে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবির হয়ে পড়ে। শুধু ঢাকা শহরে সাড়ে ৫ লাখ দোকান রয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার মার্কেট ও শপিংমলে এই শহরে নিয়মিত কেনাকাটা করে থাকেন নগরবাসী।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, দোকানপাট খুলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বুধবার ক্রেতা উপস্থিতি একটু কম থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার থেকে দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে তিনি জানান। জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচদিন পর চালু হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে। মঙ্গলবার  রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

এর মধ্যে চালু হয়েছে অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, গতি ফিরছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাখালীর দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ভবনে নাশকতাকারীদের দেয়া আগুনে সঞ্চালন লাইন পুড়ে যাওয়ায় সেদিন রাত থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাত। ব্যাহত হয় সরকারি সেবাও। ফ্রিল্যান্সাররা জানান, গত কদিন ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শেষ করা যায়নি কাজও।

তাই ইন্টারনেট পুনরায় সচল হওয়ায় নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সচল হয়েছে অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও। ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানান, ব্রডব্যান্ড সেবা পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই চালু করতে কাজ চলছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এখনও অনেক সংযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। সব সংযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। উল্লেখ্য, এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে সেবা দিতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দৈনিক তিন হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ লাগে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন বন্দরের কাস্টমস সার্ভার সচল হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি চালান নথিভুক্ত করার কাজও। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এর আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্বল্প পরিসরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হচ্ছে কনটেইনারও। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস সার্ভারও সচল হয়েছে।  সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে এতদিন আউটপাস পাচ্ছিলেন না আমদানিকারকরা। এ জন্য গাড়িতে পণ্যবোঝাই করার পরও তা বন্দর জেটি থেকে বের করা যাচ্ছিল না। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৩ হাজার কনটেইনার পণ্য আটকে ছিল। গতকাল থেকে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার ( গেট শাখা) প্রদীপ দাশ জানান, বুধবার প্রথম দিনেই প্রায় ১ হাজার কনটেইনার পণ্য গেটপাস দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

প্রায় চার দিন পর সচল হয়েছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমসের ইন্টারনেট সার্ভার সিস্টেম। এর ফলে  দেশের সর্ববৃহৎ এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ফের অটোমেশন পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে কারর্ফু ও ইন্টারনেট সমস্যায় স্থবির হয়ে পড়ে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এদিকে, ঢাকার সাভার, ধামরাই এবং নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোর শিল্পকারখানায় সকাল  থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট কারখানায় সবাই নির্ধারিত সময় কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। কারখানাগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের  নেতা-কর্মীরা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সকালথেকে কারখানাগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। অনেক কারখানায় ওভারটাইমও হবে। সব কারখানা খুলে যাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। এছাড়া বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জে পোশাকসহ সব ধরনের কারখানা চালু করা হয়েছে। সেখানে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর কারখানা খুলে দেওয়ায় মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে কেনাবেচার ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে, পাঁচ দিন পর  সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে যাওয়ায় সকাল থেকেই রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ছিল গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীর খিলগাঁও, তালতলা, নয়াপল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় শপিং মলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ফুটপাতেও বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে ব্যবসায় করছেন ‘হকার’ খ্যাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

×