নিহত সবুজ
রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সবুজ আলীকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় শোকবার্তার পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি। সবুজ আলী ঢাকা কলেজের ১৮-১৯ সেশনের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি নর্থ হলের ২০৫ নম্বর রুমে থাকতেন। সবুজের বাবার নাম বাদশা মিয়া। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানা এলাকায়।
বুধবার (১৭ জুলাই) ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী হামলায় সবুজ আলী (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখা) নিহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ পরিবার তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে।
একইসাথে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে নিহত সবুজ আলীর ছবি পোস্ট করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের হাতে খুন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী মো. সবুজ আলী। মহান আল্লাহ আমাদের ছাত্রলীগের ছোট ভাইকে জান্নাতবাসী করুন, আমিন।’
একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ফেসবুকে নিহত সবুজ আলীর ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের হাতে খুন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়ে ছিলেন, বিকেল সোয়া ৫টায় এক যুবককে দুই পথচারী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া না গেলেও মধ্যরাতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে তার পরিচয় শনাক্ত করে। তার নাম সবুজ আলী।
শহিদ
