ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের আশঙ্কা

উল্টোরথ ও আশুরার কারণে এ সপ্তাহে চাপ থাকবে সড়কে

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১৪ জুলাই ২০২৪

উল্টোরথ ও আশুরার কারণে এ সপ্তাহে চাপ থাকবে সড়কে

ছবি: সংগৃহীত

চলমান এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়াও উল্টো রথযাত্রা, পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলের কারণে এ সপ্তাহে সড়কে প্রচণ্ড চাপ থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলমান থাকলে সড়কে সে চাপ আরও বাড়তে পারে। এসব কার্যক্রমকে এ সপ্তাহের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মনে করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান৷ 

তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এই সপ্তাহে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকালও (আজ) পরীক্ষা আছে। রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিন৷ আবার ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা আছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শুরু করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা শহরে গমনাগমন বাড়বে, সড়কে চাপ বাড়বে। পাশাপাশি আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা আছে। এ উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল লালবাগ ইমামবাড়া থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত যাবে। এছাড়া লালবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ তাজিয়া মিছিল হবে নানা স্থানে। এসব এলাকায় যানজটের শঙ্কা আছে। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। এই সপ্তাহে ট্রাফিক ম্যানেজেমন্টের ক্ষেত্রে এসব বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাফিকের ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। আমরা যাতে জনভোগান্তি কমাতে পারি, সেজন্য ট্রাফিক বিভাগগুলো স্ব স্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করা হচ্ছে।  

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা যেটা শুনছি, রবিবারও বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি আসতে পারে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজটা করে থাকি। আমরা ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।

শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। সারাদিন ধরে সেখানে জনভোগান্তি হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান বলেন, অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ট্রাফিকের আটটি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে। পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে টিম ডিএমপি একযোগে কাজ করে থাকি। আমরা চেষ্টা করি জনভোগান্তি যতোটা কমিয়ে আনা যায়। এসময় উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার সারাদিন ঢাকা শহর বৃষ্টি জলাবদ্ধতার কারণে থমকে গিয়েছিল। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছিল। এরমধ্যে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কারণে অনেক জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সঙ্গতকারণে আমরা কাল নগরবাসীকে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।

অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের মূল সড়কে অটোরিকশা চলাচলের কোন সুযোগ নেই। এ জন্য বিভিন্ন  স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। ফুটপাত শুধুমাত্র নগরবাসীর চলাচল করার জন্য। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় পুনরায় ফুটপাতে দোকান বসানোর চেষ্টা করা হয়। ট্রাফিক পুলিশসহ ক্রাইম বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া আছে, ফুটপাত অবৈধভাবে দখলে রাখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

তাজিয়া মিছিল ও আশুরা ঘিরে কোনও হুমকি বা ঝুঁঁকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক পার্টটা দেখছি। ঝুঁঁকি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্য বিভাগ আছে। শাহবাগ বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা কী? মানুষ ভোগান্তিতে পড়লে তাদের জন্য চলাচলে বিকল্প পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে জয়েন্ট কমিশনার বলেন, আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। কোনও ইন্টারসেকশন বন্ধ হলে পাশের ইন্টারসেকশনে জনবল বাড়ানো হয়। বিকল্প সড়কগুলো সচল করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রেও তা-ই করা হবে।

টুম্পা

×