শাজাহান সিরাজ
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার অন্যতম শাজাহান সিরাজের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক এই মন্ত্রী ২০২০ সালে আজকের দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
তুখোড় ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজের প্রতিবাদী সত্তার প্রথম প্রকাশ ঘটে ১৯৬২ সালে। ওই বছর টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন তিনি। এরপর যোগ দেন ছাত্রলীগে। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি ছিলেন বহুল আলোচিত নিউক্লিয়াসের সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আলোচিত নেতা।
শাজাহান সিরাজ ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। উত্তাল সময় পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের নানা পর্বের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাবেক জাসদ নেতা বিএনপির শাসনামলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
প্রয়াত নেতার কন্যা সারওয়াত সিরাজ শুক্লা জানান, আজ সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে শাজাহান সিরাজের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
পরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নেতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এর বাইরে শাজাহান সিরাজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হবে। একই দিন সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।