ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

অবৈধভাবে এডহক চিকিৎসকদের সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি 

প্রকাশিত: ২০:৫২, ৯ জুলাই ২০২৪

অবৈধভাবে এডহক চিকিৎসকদের সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি 

বক্তব্য রাখেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের আহবায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে ক্যাডার রুলস চরমভাবে অমান্য করা হচ্ছে। প্রচলিত সকল ক্যাডারদের ক্ষেত্রে চাকরি বিধির যে নিয়ম স্বাস্থ্য ক্যাডারের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান রাখার দাবি জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশন। এনক্যাডাররা সবসময়ই সর্বশেষ বিসিএস এর পরে সিনিয়রিটি পায়, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানার দাবি জানানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশন আয়োজিত বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য ক্যাডারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে এনক্যাডার কর্মকর্তাদের সুবিধা প্রদানের ‘সংবিধান ও আপিল বিভাগের রায় বিরোধী’ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংবাদ সম্মেলনের শুরু করেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের আহবায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন।

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের দাবিগুলো হল- সকল বিসিএস ক্যাডারে যে নিয়ম, এনক্যাডার হওয়া এডহক কেও সেই একই নিয়মের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সিনিয়র স্কেল ছাড়া যেহেতু ক্যাডারে পদোন্নতির সুযোগ নেই, সুতরাং এডহকের ক্ষেত্রে এই সিনিয়র স্কেল পরীক্ষার প্রমার্জনা সরকারি চাকুরিবিধির সাথে সাংঘর্ষিক, এটি মানা যাবেনা। এনক্যাডার সবসময়ই সর্বশেষ বিসিএস এর পরে সিনিয়রিটি পায়, সেক্ষেত্রে এডহক থেকে এনক্যাডার হওয়া চিকিৎসক দেরকে সর্বশেষ বিসিএস ৪২ তম বিসিএস এর পরে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সকল অনিয়মসূহ লিপিবদ্ধ করে জমা দিয়েছি যার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র আমাদের নিকট রয়েছে। সকল প্রমাণ থাকার পরও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি উক্ত প্রমার্জনার ফাইলে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। ওই ফাইলটি জনপ্রশাসন হয়ে বর্তমানে কর্মকমিশনের সুপারিশের অপেক্ষা করছে। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্য ক্যাডারের সাথে চরমতম অন্যায়। আমরা সকল ক্যাডারকে আমাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ক্যাডারকে এডহক (নব এনক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীনস্ত করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ।’ লিখিত বক্তবে আরও বলা হয়, 

‘আমাদের দাবি, সকল ধরনের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, সকল ধরনের অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে এবং চলমান প্রমার্জনার সকল প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশ ভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে এবং এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. উম্মে তানিয়া নাসরিন ও বিভিন্ন বিসিএস ব্যাচের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ডা. নীতিশ কৃষ্ণ দাশ, ডা. সুমন সেন, ডা. সাফায়েত মুহাম্মদ শান্তনু, ডা. মো. মুনীবুর রহমান, ডা. নীহাররঞ্জন দাস, ডা. মাতুয়ারা শারমীন, ডা. আল মাহমুদ লেমন, ডা. মাহমুদ উর রহমান মাসুদ, ডা. জাকারিয়া হিমেল, ডা. আফানুর রহমান আদনান ও ডা. আলী আসগর শিবলী প্রমুখ।

 

আরএস/

×