ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

নগরের দূর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় জরুরি

প্রকাশিত: ২১:২০, ৮ জুলাই ২০২৪

নগরের দূর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় জরুরি

প্রকৌ. মো. আবদুস সবুর এমপি

জাতীয় সংসদের সদস্য, আইইবির প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, বেইলি রোড, বনানী, মগবাজার, গাজীপুর এবং পুরান ঢাকায় অগ্নি ও বিস্ফোরণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এই সব দূর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারই বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)আইন প্রণয়ন করেন। সরকার শুধু আইন প্রণয়নই করেননি বরং বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। অগ্নি ও বিস্ফোরণ দূর্ঘটনা প্রতিরোধে নাগরিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় জরুরি'।

সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর রমনায় আইইবির কেমিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে 'নগরে অগ্নি ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমানোর উপায়' শীর্ষক কর্মশালায়  সংসদ সদস্য, আইইবির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এসব কথা বলেন।  

আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জুর স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এ এন এম তারিক আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো: ইয়াসির আরাফাত খানের সঞ্চালনায় উপস্থাপন করেন কেমিকৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. ওবায়দুল্লাহ (নয়ন)। 

প্রকৌশলী এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সব সময়ই নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করতে আহবান জানান। উনার আহবানে দেশের নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসতে হবে৷ 

আলোচনায় অংশ নেন আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো: শামীম জেড বসুনীয়া, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম আখতার, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান, আমদানি রপ্তানি দপ্তরের নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুল মান্নান, বায়েটের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল আমিন।  

বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) আইন অমান্য করে মালিক, ব্যবহারকারী এবং ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিক সুবিধা ভোগের সুযোগ পেতে পারে। বিএনবিসি অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় এবং ভবনের চারপাশে ফায়ার সেপারেশনের জন্য নূন্যতম জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। নাগরিক সেবা নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ওয়াসা, গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ, বিএসটিআই এবং শিল্প মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। শহরে ওয়ান স্টোপ সার্ভিস চালু করা দরকার। সবচেয়ে বেশি দরকার নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা।

 

শহিদ

×