ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

রাজধানীতে বরের সাথে ঘুরতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৩০ জুন ২০২৪

রাজধানীতে বরের সাথে ঘুরতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ

ধর্ষণের শিকার নববধূ

রাজধানীর খিলক্ষেতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে এক নববধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পূর্বপরিচিত সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন– মূলহোতা সুমনসহ তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু।

খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে এয়ারপোর্ট এলাকায় ভিকটিম ও তার স্বামী ঘুরতে যান। আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডের কাছে বনরূপা এলাকার কাছাকাছি আসলে সুমন নামের ব্যক্তি এবং অজ্ঞাতনামা ৬ জন লোক তাদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে মারধর করে এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

একপর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য। ভিকটিমের স্বামী ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান।

খিলখেত থানার টহলরত টিম তৎক্ষণাৎ ভিকটিমের স্বামীকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য রওনা দেয়। ইতোমধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করেও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।

একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। অন্যদিকে ভিকটিমের স্বামীকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল খোঁজাখুঁজি করতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গেলে টের পেয়ে আসামিরা ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে আসামিদের ধরতে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর নাগাদ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

এসি শেখ মুত্তাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানানোর পরপরই অভিযান শুরু হয়। গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জড়িত একজন ওই নববধূর পূর্ব পরিচিত।

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অপহরণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বারাত

×